ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাণিজ্যমেলা

ক্রোকারিজ পণ্যের স্টলগুলোতে মূল্যছাড়ের মহোৎসব

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৭
ক্রোকারিজ পণ্যের স্টলগুলোতে মূল্যছাড়ের মহোৎসব বাণিজ্যমেলায় ক্রোকারিজ স্টলে পণ্য কিনছেন একজন ক্রেতা/ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: বর্ধিত দিনগুলোতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় চলছে মূল্যছাড়ের মহোৎসব।  ক্রোকারিজ পণ্যের স্টলগুলো নেমেছে মূল্যছাড়ের প্রতিযোগিতায়।

পণ্যভেদে ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় দিচ্ছে স্টলগুলো। এ সুযোগ লুফে নিতে ভুল করছেন না ক্রেতারাও।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) মেলায় ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

ক্রোকারিজ পণ্যের স্টলগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, দুই-তিনদিন আগেও যেসব পণ্যে মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ মূল্যছাড় দেওয়া হতো, তা এখন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে। ক্রেতারাও নিজেদের চাহিদামতো পণ্য কিনে নিচ্ছেন। বাণিজ্যমেলায় ক্রোকারিজ স্টলগুলোতে চলছে মূল্যছাড়/ছবি-বাংলানিউজ

তবে এ ছাড় এখন প্রতিযোগিতায় রুপ নিয়েছে। পাশের স্টলটি থেকে সব সময় বেশি মূল্যছাড় দিয়ে ক্রেতা আর্কষণের চেষ্টা করছেন বিক্রেতারা।

স্টলগুলোতে দেখা গেছে, গত চারদিন আগে যে ফ্রাই প্যান বিক্রি হচ্ছিলো এক হাজার ৫০ টাকায়, তা এখন ৫০ শতাংশ মূল্যছাড়ে বিক্রি হচ্ছে পাঁচশ’ ২৫ টাকায়। দুই হাজার আটশ’ টাকার এলপিজি গ্যাস সাপোর্ট গ্যাসের চুলা ২ হাজার টাকায়, এক হাজার দুইশ’ টাকার ব্লেন্ডার সাতশ’ টাকায় ও এক হাজার পাঁচশ’ টাকার প্রেশার কুকার মূল্যছাড় দিয়ে বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়।

বিশাল এ মূল্যছাড়ের কারণ সম্পর্কে বিক্রেতারা বলেন, ‘আজ (৩১ জানুয়ারি) মেলার শেষ দিন ছিলো। কিন্তু মেলার সময় চারদিন বাড়ানো হয়েছে। শেষ এ চারদিনে বেশি বেশি পণ্য বিক্রি করতেই আমাদের এ মূল্যছাড়। ক্রেতাদের শেষ সময়ে কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টাও করছি আমরা’।

মেলার মূল গেটের ডানপাশে ২ নম্বর স্টল মিয়াকো ক্রোকারিজের বিক্রেতা মো. সোহেল বাংলানিউজকে বলেন, ‘মেলার আর মাত্র চারদিন বাকি রয়েছে। তাই পণ্য বিক্রির জন্য সবাই মূল্যছাড়ের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। আমরাও মূল্যছাড় দিচ্ছি এবং ক্রেতারাও এ সুযোগ লুফে নিচ্ছেন’।

৪ নম্বর স্টল শিফা হাণ্ডিক্র্যাফটের পরিচালক মো. তোফায়েল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আরও চারদিন বাড়তি সময় পেয়েছি। মেলার মাসজুড়ে ভালো কেনা-বেচা হয়েছে। তাই শেষ সময়ে এসে ক্রেতাদের কিছু উপহার দেওয়ার লক্ষ্যেই এ মূল্যছাড়’।

নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্যে মূল্যছাড়ের হার বেশি হওয়ায় ক্রেতারাও খুশি। তারা বলেছেন, মেলার শেষদিকের এ ছাড়গুলোর জন্য তারা এতোদিন অপেক্ষা করেছিলেন। তাই এ সুযোগ পেয়ে নিজেদের পছন্দের পণ্যটি কিনে নিচ্ছেন। মেলায় বিশাল এ মূল্যছাড়ের কারণ জানতে একজন ক্রেকারিজ বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলছে বাংলানিউজমিরপুর-১০ থেকে আসা নিপুণ খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘মেলার শেষ সময়ে সাশ্রয়ী মূল্যে কিছু পণ্য কেনার অপেক্ষা করেছিলাম। ক্রোকারিজ পণ্যে এ মূল্যছাড় পেয়ে প্রয়োজনীয় কিছু পণ্য সাশ্রয়ী দামে কিনতে পেরে তাই ভালো লাগছে’।

গত ০১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ৩১ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের চাহিদার কারণে চারদিন বাড়ানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৭
এএটি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।