মেলার ২৩তম আসরের ১২তম দিনে দেখা গেছে হাজারো মানুষের স্রোত এক হয়ে মিশেছে শেরে বাংলা নগরের এ মেলা প্রাঙ্গণে। একই সঙ্গে ব্যস্ততা বেড়েছে বিক্রেতাদেরও।
সপ্তাহের অন্য যে কোনো দিনের তুলনায় তারা আজ একটু বেশিই ব্যস্থ। ক্রেতাদের অতিরিক্ত চাপ সামলাতে অনেকেই হিমসিম খেয়ে যাচ্ছেন।
শুধু রাজধানীবাসীই নয়, দেশের নানা অঞ্চল থেকে এদিন দর্শনার্থীদের ভিড় জমাতে দেখা গেছে মেলার স্টলগুলোতে।
খুলনা থেকে আসা দর্শনার্থী মনিরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ঘটা করে সময় বের করে খুলনা থেকে মেলায় আসাটা হয়ে ওঠে না। গতকাল একটা পারিবারিক কাজে ঢাকায় এসেছিলাম স্বপরিবারে। আজ কাজ নেই, তাই সবাই মিলে মেলায় ঘুরতে এলাম। পছন্দমত কিছু পেলে কিনে নেব।
এদিকে কাজ আর অফিসের চাপে রুটিনের বাইরে সময় বের করা যেন দুরূহ ব্যাপার এই যান্ত্রিক শহরের বাসিন্দাদের। এক দিনের সময় পেলেই যেন গা ছেড়ে একটু বিশ্রাম নিতে মন চায় তাদের।
কিন্তু এখন আর সেই সুজোগ কোথায়! সারা বছর পরিবারকে বলেছি বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে নিয়ে যাবো। এটা কিনে দেবো, ওটা কিনে দেবো। আজ ছুটির দিনে মন চাইলেও বাসায় থাকার জো আছে? তবে আজকে ছেলে-মেয়ে এবং আমার ছুটি। সবাই মিলে সারাদিন ঘুরে ঘুরে কেনা-কাটা করতে এসেছি। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা বেসরকারি চাকরিজীবী রাশেদের মূল্যায়ন এমন।
একইভাবে রংপুর ক্রফ্ট স্টলের বিক্রয় প্রতিনিধি নকুল চন্দ্র সরকার বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি শুক্রবার-শনিবার মেলায় এমন ভিড় থাকে। এই দু’দিন আমরাও খুব ব্যস্ত থাকি। এছাড়া ছুটির দিনগুলোতে বিকেল থেকে রাতে বন্ধ হওয়া পর্যন্ত ভিড় বেশি থাকে।
তবে এদিন দুপুর থেকেই দেখা গেছে মেলার প্রধান ফটক দিয়ে নামতে শুরু করেছে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ঢল। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টিকিট কাউন্টার আর মেলার গেটের লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে।
**দর্শনার্থীদের আকর্ষণ শাওমি’র ইলেক্ট্রিক সাইকেলে
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৭
এসআইজে/এসএইচ