ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

ভ্রমণ পিপাসুদের ভিড় হাকালুকি হাওরে

নাসির উদ্দিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০১৫
ভ্রমণ পিপাসুদের ভিড় হাকালুকি হাওরে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সিলেট: হাকালুকি হওর নয়, যেন `মিনি কক্সবাজার’। আরেকটি সমুদ্র।

যেখানে ঢেউয়ের গর্জন জানান দেয় সমুদ্রের। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিবিড়ভাবে কাছে টানে ভ্রমণ পিপাসুদের। মৌলভীবাজার ও সিলেটে জেলার পাঁচটি উপজেলা জুড়ে এর বিস্তৃতি।

নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিনিয়ত হাকালুকির পাড়ে ভিড় জমাচ্ছেন ভ্রমণ পিপাসুরা। ঘুরতে আসা অনেকে হাকালুকির স্বচ্ছ জলে মনের আনন্দে সাঁতার কাটেন। কেউ বা আবার সেলফি তুলতে ব্যস্ত।

সিলেট থেকে স্বপরিবারে আসা ব্যবসায়ী রাজু আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে এবারের ঈদেও শহরের কয়েকটি বিনোদন কেন্দ্র ঘুরেছি। গিয়েছি বিছানাকান্দি ও জাফলং।

তিনি বলেন, অনলাইনে হাকালুকির সৌন্দর্য দেখে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে তাই এবার এখানে ছুটে আসা। সত্যিই এটি অপরূপ সৌন্দর্যের এক হাওর। হাওরের ঢেউয়ের গর্জন জানান দেয় সমুদ্রের। এ যেন সত্যিই ‘মিনি কক্সবাজার’।

স্থানীয় বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এত দিন এখানকার স্থানীয় লোকজন স্বজনদের নিয়ে বিকেল বেলায় এই স্থানটি ঘুরে যেতেন। এখন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছেন।

এর আগে ‘মিনি কক্সবাজার হাকালুকি’ শিরোনামে অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজে একটি বিশেষ লেখা প্রকাশের পর এই ‍হাওরে পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে গেছে বলে দাবি করেন জাহাঙ্গীর হোসেন।

স্থানীয় বাসিন্দা সারোয়ার জাহান বাংলানিউজকে বলেন, আয়তনের দিক থেকে হাকালুকি হাওর সর্ববৃহৎ। বিভিন্ন উপজেলা থেকে হাকালুকি দেখা গেলেও এর প্রকৃত রূপ ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া জিরো পয়েন্টে। এখানে প্রতিদিন বিকেলে অসংখ্য পর্যটক ভিড় করেন।

সরকারিভাবে উদ্যোগ নিয়ে ভ্রমণ পিপাসুদের আরও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে রাজস্ব আয়ের নতুন দ্বার উন্মোচন করা সম্ভব বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৫
এনইউ/টিআই/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।