এথেন্স (গ্রিস) থেকে: গতানুগতিক নয়। ব্যবসায় কিছুটা ভিন্নতা এনে তীব্র মন্দার মধ্যেও গ্রিসে নিজেদের জীবনে স্বনির্ভরতার আলো ছড়িয়েছেন তিন বাংলাদেশি।
১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি অভিবাসীর স্থান এখন ইউরোপের দেশ গ্রিসে। সেখানে ছিলো না কোনো মিষ্টির দোকান। তাই মিষ্টির অভাবে মনে এক ধরনের শূন্যতা অনুভব করতেন এখানকার প্রবাসীরা। আর সেটা টের পেয়েই নরসিংদীর মিজানুর রহমান, হজরত অালী আর ভৈরবের ফায়জুল ইসলাম মিলে প্রথমবারের মতো গ্রিসে মিষ্টির দোকান চালু করলেন।
এথেন্সের প্রাণকেন্দ্র অমানিয়ায় গ্যারানিউ সড়কে খুলেছেন এশিয়ান সুইট হাউজ নামে মিষ্টির দোকান। তিনজনের মিলিত প্রচেষ্টায় মাসিক ৪শ ২০ ইউরো ভাড়ায় শুরু করেছেন এ দোকানটি।
মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, রকমারি মিষ্টি, দই, ছানা, জিলাপি ছাড়াও নিজেদের বানানো পিঠা, চানাচুরসহ মুখরোচক খাবার বিক্রি করি আমরা। আমরা যেখানে দোকানটি চালু করেছি এই স্থানটি পরিচিত ‘কালিয়ার গলি’ হিসেবে। আগে আফ্রিকার মানুষদের আধিপত্য থাকলেও স্থানটি এখন বাংলাদেশিদের দখলে। বিকেলের পর অবসর-আড্ডায় প্রবাসীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় এলাকাটি। বেচাকেনাও হয় ভালো। বিশেষ করে সপ্তাহের শনি, রবি ও সোমবার বেচাবিক্রি হয় বেশি।
উদ্যোক্তাদের একজন হজরত অালী জানান, আমরা সবাই ভিন্ন কাজ করতাম এখানে। যেমন মিজান ইলেকট্রিক দোকানে আর আমি চালাতাম মেস। তবে নতুন উদ্যোগ আমাদের প্রত্যেকের জীবনে বাড়তি আয় হিসেবে হাজারখানেক ইউরো অর্জনের সুযোগ করে দিয়েছে। টাকার অংকে যা প্রায় লাখ টাকা।
মন্দার দেশে তাদের এ বাড়তি রোজগারের পথকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রবাসীরা। অনেক আবার দেখছেন দৃষ্টান্ত হিসেবেও।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৬
এসএনএস
** গ্রিসে প্রবাসীদের স্বজন প্রকৌশলী জয়নুল আবেদীন
**মন্দার বিপরীতে স্বপ্নে বিভোর জহিরুল
**রোদ চশমায় ভাগ্যবদল আনোয়ারের
** গ্রিক নারীর বাংলাদেশ প্রেম
** উত্তরগুলো কেবল অসহায় চাহনিতেই!
** বিদেশি সতীনেও কষ্ট নেই, আছে সুখ!
** ডিশ ওয়াশার থেকে ২ রেস্টুরেন্টের মালিক আকুল মিয়া
**জার্মানিতে বিয়ে বা দত্তক- এতে যায় কষ্টের বহু অর্থ
**পেট্রোলপাম্পেও নিজের কাজ নিজে করো নীতি
**সততা-একাগ্রতাই এগিয়ে নিয়েছে কাজী সুরুজকে
**‘সেই সংগ্রামই সাফল্যের পথপ্রদর্শক’
** আস্থার সংকটে বাংলাদেশ–জার্মানি সম্পর্ক!
** বিমানবন্দরে বাংলাদেশের হাসি
** নিজেই মুমূর্ষু জার্মানির বাংলাদেশ দূতাবাস