ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পেল ঊনকোটি পাহাড়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২২
বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পেল ঊনকোটি পাহাড়

আগরতলা (ত্রিপুরা): অজন্তা গুহা, ইলোরা গুহা, আগ্রা ফোর্ট এবং তাজমহলসহ ভারতের অন্যান্য পরিচিতি পর্যটন স্পটের সঙ্গে এবার যুক্ত হলো ত্রিপুরা রাজ্যের ঊনকোটির নাম।

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেস্কো) তাদের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট) এবার অন্তর্ভুক্ত করেছে ত্রিপুরার ঊনকোটি পাহাড়ের নাম।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই অন্তর্ভুক্তির কথা জানিয়েছেন।  

এজন্য তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পর্যটন মন্ত্রী জি কৃষাণ রেড্ডিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।  

এ নিয়ে উচ্ছ্বাস ও আনন্দপূর্ণ অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন ত্রিপুরার পশ্চিম লোকসভা আসনের এমপি এবং ভারত সরকারের সামাজিক ন্যায় বিচার ও ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকও।  

ঊনকোটির বিশেষ বৈশিষ্ট হচ্ছে- সুউচ্চ পাহাড়ের গায়ে পাথরে খোদাই করা নানা আকারের দেবদেবীর মূর্তি। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- জটাধারী শিব এবং ৩০ ফুট উঁচু কালভৈরবের মূর্তি। এছাড়া গণেশ, দুর্গা, বিষ্ণু, রাম, রাবণ, হনুমান এবং শিবের বাহন নন্দীর মূর্তিও রয়েছে।  

দীর্ঘ বছরের পুরাতন হওয়ায় ভূমি ক্ষয়, ভূমিকম্প এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে এদের অনেকগুলোই নষ্ট হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক চোরা কারবারীদের দ্বারাও বহু মূর্তি পাচার হয়েছে বলে অনেকের অভিমত। তবে এখনো অসংখ্য খোদাই করা মূর্তি ও নকশা রয়েছে এই পাহাড়ে।  

ঐতিহাসিকদের মতে, ঊনকোটির এই বিশালাকার এবং অভিনব ভাস্কর্য তৈরী হয়েছিল অষ্টম বা নবম শতাব্দীতে।  প্রতি বছর শিবরাত্রি, মকর সংক্রান্তি এবং অশোকাষ্টমী মেলা ও উৎসবের আয়োজন করা হয় এখানে। তখন লাখ লাখ লোকের সমাগম হয় ঊনকোটি প্রাঙ্গণে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২২
এসসিএন/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।