ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

আগরতলায় প্লাস্টিকমুক্ত কর্মসূচির উদ্বোধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৩
আগরতলায় প্লাস্টিকমুক্ত কর্মসূচির উদ্বোধন

আগরতলা, (ত্রিপুরা): এককালীন ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক গোটা পৃথিবীতে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর থেকে মুক্তি  পেতে চায় সবাই।

প্লাস্টিকমুক্ত পৃথিবী গড়ার কর্মসূচিতে শামিল হয়েছে ছোট রাজ্য ত্রিপুরাও। এককালীন ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো এবং এর কুফল সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে শনিবার (১৫ জুলাই) রাজধানী আগরতলায় এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।  
‘প্লাস্টিকমুক্ত ত্রিপুরা অভিযান’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা।

এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, বিজ্ঞান পরিবেশ ও প্রযুক্তি দপ্তরের সচিব কে এস শেঠি প্রমুখ।  

আগরতলা টাউন হলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন সেলফ হেল্প গ্রুপের সদস্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা বলেন, এ ধরনের অভিযান শুধু সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এ কর্মসূচিতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে অংশ নিতে হবে। তবেই এ মহৎ কাজকে সফল করা সম্ভব হবে। প্লাস্টিকের ব্যবহারের ফলে শুধু পরিবেশেরই ক্ষতি হচ্ছে এমন নয়, প্লাস্টিকের কারণে আমাদের শরীরেও নানা ধরনের রোগ এবং শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের এ ব্যবহারের আগে আরও বেশি করে চিন্তাভাবনা করতে হবে এবং এগুলো ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। প্লাস্টিকের পরিবর্তে বিকল্প আর করতে হবে। সেসঙ্গে আবর্জনা ফেলার বিষয়ে ও সাধারণ মানুষদের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। তাই সমাজের সচেতন অংশের মানুষদের এ বিষয়ে আরও সতর্ক হতে হবে। যদি কেউ রাস্তা-ঘাটে আবর্জনা ফেলে তাহলে প্রতিবাদ করতে হবে। নেশামুক্ত রাজ্য গড়ার লক্ষ্যে যেভাবে অভিযান শুরু করেছে, ঠিক সেভাবে প্লাস্টিকমুক্ত রাজ্য করারও অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযানে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান।

প্লাস্টিকের ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতনতাবিষয়ক একটি প্রদর্শনীর এবং প্লাস্টিক সচেতনতাবিষয়ক একটি পুস্তিকার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে গাছ-পালা দিয়ে যেসব উপাদান এখন ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে এগুলোর একটি প্রদর্শনী করা হয়েছিল অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে। মূলত বিভিন্ন সেলফ হেল্প গ্রুপের সদস্যরা এ সামগ্রী তৈরি করে থাকেন। এ প্রদর্শনীতেও ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রীসহ উপস্থিত অন্যান্য অতিথিরা। এ অভিযানের উদ্যোক্তা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৩
এসসিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।