ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

আম চাষি ক্ষেত্রমোহন এখন সবার অনুপ্রেরণা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৮ ঘণ্টা, মে ৫, ২০১৭
আম চাষি ক্ষেত্রমোহন এখন সবার অনুপ্রেরণা আম চাষি ক্ষেত্রমোহন এখন সবার অনুপ্রেরণা-ছবি-বাংলানিউজ

আগরতলা: ত্রিপুরার খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া মহকুমায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের গ্রাম দবারিকাপুর। ঘন গাছগাছালিতে ঘেরা গ্রামটিতে ৭০টি পরিবারের বাস। মহকুমা সদর থেকে সরু লাল ইট বিছানো আঁকাবাঁকা রাস্তা চলে গেছে পাহাড়ি এই গ্রামটিতে।

এই গ্রামেই বাস করেন ৫০ বছরের ক্ষেত্রমোহন দেববর্মা। তার উদ্যম ও সফলতার কথা এখন গ্রাম ছাড়িয়ে মহকুমা সদরেও আলোচিত।

তিনি এখন শুধু তার এলাকাতেই নয়, আশেপাশের এলাকার যুবকদের কাছেও অনুপ্রেরণা।

২০১৪ সালে ক্ষেত্রমোহন তার দেড় বিঘা পতিত টিলায় আম্রপলি জাতের ১শ’ ৪০টি আমের চারা লাগান।  

আম চাষি ক্ষেত্রমোহন এখন সবার অনুপ্রেরণা-ছবি-বাংলানিউজদুই বছর পর বাগানে প্রথম আমের ফলন হয়। নিজে খেয়েও স্থানীয় কল্যাণপুর বাজারে প্রায় ১৫ হাজার রুপির আম বিক্রি করেছেন বলে বাংলানিউজকে জানান তিনি।

এ বছরও গাছে বাম্পার ফলন হয়েছে। এক একটি গাছে আনুমানিক ৭০ থেকে ১শ’ টি করে আম ধরেছে বলে জানান। গত বছরের তুলনায় এ বছর আম বিক্রি করে আরও বেশি আয়ের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। ইতোমধ্যে আম বিক্রি শুরু করে দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এই সাফল্যের পেছনে স্থানীয় কৃষি দফতরের বাগান বাজার সেক্টর অফিসের কর্মকর্তাদের বড় অবদান রয়েছে বলে জানান ক্ষেত্রমোহন। আম বাগান করার পরিকল্পনা শুরুর পর আমের চারা প্রদান, পরামর্শ দেওয়াসহ সব ধরনের সহযোগিতা দিয়েছেন তারা।  

আম চাষি ক্ষেত্রমোহন এখন সবার অনুপ্রেরণা-ছবি-বাংলানিউজদবারিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য বুধলক্ষী দেববর্মা বাংলানিউজকে বলেন, ক্ষেত্রমোহনের এই সাফল্য দেখে স্থানীয়রা তার আম বাগান পরিদর্শন করছেন। এলাকার ৫০ জন উৎসাহী যুবককে আম বাগানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, মে, ২০১৭ 
এসসিএন/আরআর/আরআই
        


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।