ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

ত্রিপুরার ৬ বিধায়ক যোগ দিলেন বিজেপিতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০১৭
ত্রিপুরার ৬ বিধায়ক যোগ দিলেন বিজেপিতে ৬ বিধায়কের বিজেপিতে যোগদান সভা

আগরতলা: অবশেষে বিনা ভোটে ত্রিপুরা বিধানসভায় ৬ বিধায়ক নিয়ে প্রবেশ করলো বিজেপি। সোমবার (৭ আগষ্ট) রাজধানী আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে এক প্রকাশ্য সমাবেশে ত্রিপুরা রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের ৬ বিধায়ক বিজেপি-তে যোগ দেন।

এই ছয় বিধায়ক হলেন- সুদীপ রায়বর্মণ, আশিষ সাহা, দিলীপ সরকার, বিশ্ববন্ধু সেন, প্রাণজিৎ সিংহরায় ও দিবাচন্দ্র রাংখল।  ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির সভাপতি বিপ্লব কুমার দেব তাদের উত্তরীয় পরিয়ে দলে বরণ করে নেন।

৬ বিধায়কের বিজেপিতে যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা আসাম রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ চার দফতরের মন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা, ভারত সরকারের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, বিজেপির ত্রিপুরা রাজ্যের অবজারভার সুনীল দেওধর প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আসামের অর্থমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, বিজেপি সরকার যা প্রতিশ্রুতি দেয় তা করে দেখায়। তাই ত্রিপুরাবাসীকে বিজেপির তরফে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি দল ত্রিপুরা রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় এলে প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকে রাজ্যের সব কর্মচারীদের জন্য ৭ম পে কমিশন ঘোষণা করা হবে। ত্রিপুরা রাজ্যের ৭ লাখ বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সহ ত্রিপুরা রাজ্যে নারীঘটিত অপরাধের সংখ্যা কমানো হবে।

বামফ্রন্টকে বিজেপি ভারতবর্ষ থেকে তাড়িয়ে দেবে। মুখ্যমন্ত্রীসহ বামফ্রন্ট নেতাদের চীনে গিয়ে আশ্রয় নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন হেমন্ত বিশ্বশর্মা।

অপর দিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন ত্রিপুরা রাজ্যে প্রাকৃতিক গ্যাসের অফুরন্ত ভাণ্ডার রয়েছে তাকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যের সাত লাখ বেকারের নয় ৭০ লাখ বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব। রাজ্যের সুবিধার জন্য আরও ৪০টি নতুন পেট্রোল পাম্প চালু করা হবে। পেট্রোলিয়াম ক্ষেত্রে ৭শ’ কোটি রুপি খরচ করা হবে। রাজ্যের উত্তর জেলায় আরও একটি রান্নার গ্যাস বটলিং প্লান্ট চালু করা হবে।

তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগদানকারী বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন বলেন, ৩৫ বছরের বেশি সময় কংগ্রেস দলে থাকার পর বুঝতে পেরেছি কংগ্রেসের দ্বারা বামফ্রন্ট দলকে ক্ষমতা থেকে সরানো সম্ভব হবে না, তাই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেই। কিন্তু ২০১৬ ও ২০১৭ সালের তৃণমূল কংগ্রসের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে।  

একমাত্র বিজেপির দ্বারা ত্রিপুরা তথা দেশ থেকে বামফ্রন্ট দলকে হটানো সম্ভব বলে মন্তব্য করেন বিজেপিতে সদ্য যোগ দেওয়া নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৭        
এসসিএন/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।