ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

বাংলাদেশ হয়ে ত্রিপুরার বিদ্যুৎ যাবে পশ্চিমবঙ্গে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
বাংলাদেশ হয়ে ত্রিপুরার বিদ্যুৎ যাবে পশ্চিমবঙ্গে ত্রিপুরা রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী মানিক দে; ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা: ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত উচ্চ ক্ষমতার বিদ্যুৎ পরিবাহী লাইন স্থাপনে সম্মত হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি।

গত ১০ ও ১১ অক্টোবর মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলং শহরে পাওয়ার মিনিস্ট্রি অব দ্য নর্থ ইস্ট রিজিওন্যাল কাউন্সিল'র (পিএমএনআরসি) ১৮তম বৈঠকে এই মতৈক্য হয়। এই বৈঠকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যের মধ্যে পাঁচটি রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরের মন্ত্রী মানিক দে।

বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) আগরতলায় ফিরে মানিক দে সন্ধ্যায় মহাকরণে এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বিস্তারিত জানান।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উপর দিয়ে ত্রিপুরা রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিদ্যুতের লাইন স্থাপন করলে দূরত্ব ৫০০ কিমি কমে যাবে। ফলে বিদ্যুৎ পরিবহন খরচ অনেকটা কমে যাবে। তাছাড়া বাংলাদেশের সমতলভূমির উপর দিয়ে যাবে বলে সমস্যাও হবে তুলনামূলকভাবে অনেক কম।

এই প্রস্তাবে পিএমএনআরসি'র সব সদস্য রাজি হয়েছে। প্রস্তাবটি পাস করে ভারত সরকারের কাছে পাঠানো হবে অনুমোদনে জন্য। ভারত সরকার এরপর জরিপ করে দেখবে কী করে তা বাস্তবায়ন করা যায়। এই নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলবে কেন্দ্র। বাংলাদেশকে রাজি করানো গেলে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের ভিত্তি পাবে।

ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই জেলার বড়মুড়া এলাকায় ২১ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি টারবাইন রয়েছে। একটি টারবাইন বন্ধ রয়েছে গত প্রায় এক বছর ধরে। এটিকে কম্বাইন্ড সাইকেলে রূপান্তরিত করলে একই খরচে আরো ২৫ মেগাওয়াট বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। যা থেকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি শেয়ার পাবে। এর সংস্কারের জন্য ২০০ কোটি রুপি লাগবে। এটি সংস্কারের কথা বলা হয় ত্রিপুরার তরফে। উত্তর-পূর্বের রাজ্য গুলি এই প্রস্তাবেও রাজি হয়েছে।

পাশাপাশি উত্ত-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নের নানা দিক নিয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলেও জানান মানিক দে।
বাংলাদেশ সময়:২১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
এসসিএন/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।