ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

রাজ্যের প্রধান হাসপাতালে কর্মীরা আসেন তাদের ইচ্ছেমতো

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৭
রাজ্যের প্রধান হাসপাতালে কর্মীরা আসেন তাদের ইচ্ছেমতো রাজ্যের প্রধান হাসপাতালে কর্মীরা আসেন তাদের ইচ্ছেমতো

আগরতলা: ত্রিপুরা রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতাল আগরতলা সরকারি মেডিকেল কলেজ ও জিবি হাসপাতাল। হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি বিভাগের আউটডোর খুলার কথা স্থানীয় সময় সকাল ৯টায়। 

বুধবার (৮ নভেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাউন্টারের বাইরেও লেখা আছে পরিষেবা শুরুর সময় সকাল ৯টা থেকে। কিন্তু নির্ধারিত সময় দরজা খুলে গেলেও আউটডোরের সরকারি কর্মচারীরা কর্মস্থলে এসে হাজির হয়নি।

প্রায় প্রতিদিনই আউটডোরের ওই কর্মচারীরা আসেন তাদের ইচ্ছেমতো বলে অভিযোগও করেন হাসপাতলে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা।

এদিকে দেখা যায় রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে রক্ত সংগ্রহ, রিপোর্ট প্রদান কাউন্টারসহ সবগুলো কাউন্টারই ফাঁকা রয়েছে। আর দূর দূরান্ত থেকে আসা গর্ভবতী মাসহ তাদের আত্মীস্বজন বিভিন্ন কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন।

সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ইন্টিগ্রেটেড কাউন্সেলিং অ্যান্ড টেস্টিং সেন্টার (আইসিটিসি) কাউন্টারে দেখা যায় একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী বসে আছেন। তিনি বাংলানিউজকে জানান, সকাল ৯টায় কর্মীদের আসার কথা থাকলেও তারা সময় মতো আসেন না।  

সরকারি কর্মীদের নির্ধারিত সময়ে না আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিভাগের নোডাল অফিসার রয়েছেন ডা. তাপস মজুমদার যা বলার তিনি বলবেন। কিন্তু তিনি এখনো অফিসে নেই বলেও জানান ওই কর্মী।

ডা. তাপস মজুমদারকে একধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের আসা একজন রোগীর স্বজন অভিযোগ করেন, হাসপাতালের এই চিত্র নিত্যদিনের। এ নিয়ে রোগী ও তাদের সঙ্গে আসা লোকজনের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তাদের দাবি রাজ্যের প্রধান হাসপাতের পরিষেবা স্বাভাবিক করা হোক।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৭
এসসিএন/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।