ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

১শ’ দিনে শতভাগ ব্যর্থ সিমনা আসনের বিধায়ক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০১৮
১শ’ দিনে শতভাগ ব্যর্থ সিমনা আসনের বিধায়ক নষ্ট হচ্ছে পানির উৎস-ছবি-বাংলানিউজ

আগরতলা: ত্রিপুরা রাজ্যের মোট ৬০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১ নম্বর বিধানসভা আসনটি হলো জনজাতি সংরক্ষিত সিমনা। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৮৮১ জন। এই বিধানসভা আসনটি মিশ্র জনবসতি পূর্ণ। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এই বিধানসভা কেন্দ্রে যেমন জনজাতি অংশের মানুষ রয়েছেন তেমনি এই কেন্দ্রে একাধিক চা বাগান থাকার কারণে এখানে আছেন বাগানি সম্প্রদায়ের ভোটারও।

এই আসনটি টানা ২৫ বছর বামফ্রন্টের দখলে থাকলেও নির্বাচনে বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআই (এম) প্রার্থী প্রণব দেববর্মাকে হারিয়ে বিজেপি-আইপিএফটি জোট সমর্থিত আইপিএফটি প্রার্থী বিশ্বকেতু দেববর্মাকে জয়ী করেন ভোটাররা। এর কারণ হিসেবে তারা বামদের দীর্ঘ শাসনে অনুন্নয়নের কথা উল্লেখ করেছেন।

আবার অনেকে নির্বাচনের আগে

আইপিএফটি প্রার্থীসহ দলের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে এসব সমস্যার দ্রুত সমাধানের প্রতিশ্রুতির কথাও উল্লেখ করেছেন। ভোটাররা ভেবেছিলেন, নির্বাচিত বিধায়ক মানুষের জন্য আগ্রহ নিয়ে কাজ করবেন। কিন্তু বিধায়কের নির্বাচনের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতির সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই।

বাঙালি জনজাতি, বাগানি সব অংশের মানুষের অভিযোগ বিধায়ক নির্বাচনের পর তাদের এলাকায় একবারের জন্যও যাননি বিধায়ক বিশ্বকেতু দেববর্মা।  

সিমনা বিধানসভা এলাকার ৬০ বছর বয়সী সুজিত দত্ত জানান, বিধানসভা ভোটের পর আর বিধায়কের দেখা মেলেনি, এমনকি কোনো উন্নয়নমূলক কাজও হয়নি।  

বিধানসভার ব্রজবিনোদিনীপুরের পরেশ পাল বলেন, বিশ্বকেতুকে আমরা শুধু ভোটই দিয়েছি কিন্তু তাকে দেখিনি কখনও।

ধীরাজ দেববর্মা নামে এক যুবক জানান, নতুন সরকার আসার পর কোনো কাজ নেই। তাই সাধারণ মানুষের খুব সমস্যার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে।  

তাদের একটাই দাবি, বিধায়ক এলাকায় এসে সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলি দেখে যেন সমাধানের উদ্যোগ নেন।  

সাঁওতার পাড়ায় মিঠুন সাঁওতালসহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। সবার মুখেই শুধু সমস্যার কথা। নেই ভালো রাস্তা, নেই পরিশ্রুত খাবার পানির উৎস। সেইসঙ্গে জোরালো দাবি কর্মসংস্থানের।

বিধানসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পানির উৎসগুলো পরিচর্যা না করায় নষ্ট হয়ে গেছে।

নতুন সরকারের আড়ম্বরের সঙ্গে ১শ’ দিন পূর্ণ করার কথা ঘোষণা করলেও এই ১শ’দিনে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি সিমানা বিধানসভার বেশিরভাগ অংশে। সব মিলিয়ে নতুন বিধায়ক ১শ’ দিনে শতভাগ ব্যর্থ বলে এলাকার মানুষ জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, ৩ জুলাই, ২০১৮
এসসিএন/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।