ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

ত্রিপুরা-বাংলাদেশের রেল যোগাযোগে উভয় দেশেরই উপকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০১৮
ত্রিপুরা-বাংলাদেশের রেল যোগাযোগে উভয় দেশেরই উপকার ট্রেন সার্ভিস চালুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা: ত্রিপুরা রাজ্যে ২০১৬ সাল থেকে এখনপর্যন্ত ১২টি ট্রেন সার্ভিস চালু হয়েছে। বাংলাদেশ এবং ত্রিপুরা রাজ্যের মধ্যে ট্রেন সার্ভিস চালু হলে যাত্রীরা দ্রুত ভারতের অন্য প্রান্তে বাংলাদেশ হয়ে যেতে ত্রিপুরায় যাতায়াত করতে পারবে। তাছাড়া পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে উভয় দেশই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।

শুক্রবার (৬ জুলাই) আগরতলা থেকে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দেওঘর শহরের মধ্যে সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ভারতের রেল প্রতিমন্ত্রী রাজেন গোহাই।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, ত্রিপুরা সরকারের পরিবহন মন্ত্রী প্রাণজীৎ সিংহ রায়, ত্রিপুরা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার বিশ্ববন্ধু সেন, সাংসদ ঝর্ণা দাস বৈদ্য, শঙ্কর প্রাসাদ দত্ত প্রমুখ।

 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, কোনো রাজ্য বা দেশের উন্নয়নের জন্য প্রথমে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন। এর জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরপূর্ব ভারতের উন্নয়নের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। দেশের এই অঞ্চলে একের পর এক উন্নয়ন হচ্ছে।  

এছাড়া ট্রেনকে নিশ্চিত দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষায় সহায়তাকারী যাত্রী স্বপন দেববর্মাকে রেলওয়ে মন্ত্রণালয় সম্মান জানানোর জন্য কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রী পিযুষ গোয়েলের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানান তিনি।

উপস্থিত অতিথিরা সবুজ পতাকা নেড়ে ট্রেনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা করান।

ট্রেনটি প্রতি শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টায় আগরতলা রেল স্টেশন থেকে ছাড়বে এবং ১৪৬২ কিমি দূরত্ব অতিক্রম করে সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ দেওঘর পৌঁছবে এবং সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫মিনিটে আবার ছাড়বে। আগরতলা থেকে দেওঘরের মধ্যে মোট ২০টি স্টেশনে দাঁড়াবে ট্রেনটি। এতে মোট ১৬টি বগি রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৮
এসসিএন/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।