ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

বিশ্বের বাজারে তুলে ধরা হবে ‘ত্রিপুরার বাঁশি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮
বিশ্বের বাজারে তুলে ধরা হবে ‘ত্রিপুরার বাঁশি’ বাঁশি নেড়ে দেখছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ও পাশেই বসে আছেন বাঁশি তৈরির কারিগর বাবুল দেবনাথ। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরার বাঁশিকে বিশ্বের বাজারে তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।

ভারতজুড়ে বাঁশি তৈরির জন্য ভালো প্রজাতির বাঁশ একমাত্র ত্রিপুরায় চাষ করা হয়। সেই বাঁশের নাম ‘ডলু বাঁশ’।

রাজ্যের বাঁশি তৈরির কারিগররা হলেন ভারতের বিখ্যাত বাঁশিবাদক হরিপ্রাসার চৌরাশিয়া ও তার শিষ্য বাবুল দেবনাথ। এক একটি বাঁশি ১০ থেকে ১৫ হাজার রুপিতে বিক্রি হয়। এই বাঁশের বিশেষ বৈশিষ্ট হলো একটি গিট থেকে আরো একটি গিটের দূরত্ব এক মিটারের বেশি হয়।

বাঁশি তৈরির কারিগর বাবুল দেবনাথ শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মহাকরণে জনতার দরবারে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব'র সঙ্গে দেখা করেন।

মুখ্যমন্ত্রী বাবুল দেবনাথ'র সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন ও তার কাছ থেকে বাঁশি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেন।

বাবুল দেবনাথ মুখ্যমন্ত্রীকে বাঁশি বাজিয়েও শুনান এবং মুখ্যমন্ত্রী নিজে বাঁশি হাতে নিয়ে দেখেন। এ সময় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেবও।

পরে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, রাজ্যে ‘ডলু বাঁশ’ চাষ যাতে বাড়ে ও বাঁশি তৈরির কারখানা তৈরি করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি এই বাঁশিকে বিশ্বের বাজারে তুলে ধরা হবে।

বাবুল দেবনাথ জানান, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ত্রিপুরার এই ডলু বাঁশের বাঁশির চাহিদা থাকলেও রাজ্যের ৯৮শতাংশ মানুষ এই বিষয়ে কিছু জানেন না। তাই রাবার চাষের জন্য নির্বিচারে বাঁশ বন ধ্বংস করছেন। অথচ একটি ডলু বাঁশ থেকে ৭ থেকে ৮টি বাঁশি তৈরি হয়। অর্থাৎ ৭০ থেকে ৮০ হাজার রুপি একটি বাঁশ থেকে পাওয়া সম্ভব।  তিনি রাজ্য সরকারকে এই শিল্পের দিকে নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮
এসসিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।