ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

অনাবৃষ্টিতে ত্রিপুরায় কমেছে চায়ের উৎপাদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫১ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৯
অনাবৃষ্টিতে ত্রিপুরায় কমেছে চায়ের উৎপাদন চা বাগান। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): চলতি শুষ্ক মৌসুমে বৃষ্টি কম হওয়ায় ত্রিপুরায় চায়ের উৎপাদন ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। এবার ত্রিপুরায় স্বাভাবিকের তুলনায় ১৭ শতাংশ বৃষ্টি কম হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

বৃষ্টি কম হওয়ায় ত্রিপুরায় একদিকে যেমন মৌসুমী ফসলের চাষাবাদে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, তেমনি চায়ের উৎপাদনেও এর প্রভাব পড়েছে।

রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রয়েছে ছোট-বড় মিলিয়ে ৫৫টি চা বাগান।

এবারের শুষ্ক মৌসুমে বৃষ্টি কম হওয়ায় চায়ের উৎপাদন অনেকটাই কমেছে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তুষ সাহা।

সবক’টি বাগানে কৃত্রিম সেচের ব্যবস্থা না থাকায় চায়ের কুঁড়ির ফলন কমেছে এই মৌসুমে বলেও জানান তিনি।

তবে মোট কত শতাংশ কমেছে তার হিসাব জানাতে পারেননি তিনি।

রাজধানীর আগরতলা থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে দূর্গাবাড়ী চা বাগান। এই বাগানে চায়ের পাতা তোলার কাজে যুক্ত রয়েছেন প্রায় ৩৫০জন শ্রমিক। তাদের একজন জোৎস্না দাস। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই বাগানের পাতা তোলার কাজ করেন।

ওই নারী শ্রমিক বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন প্রত্যক শ্রমিক ন্যূনতম ২০ কেজি করে চায়ের পাতা তোলে। পরে তা জমা দিয়ে মজুরি হিসাবে পায় ১০৫ রুপি। এরপর যে যতো কেজি পাতা তুলবেন তার জন্য থাকে বাড়তি মজুরি।

তিনি আরও বলেন, তারা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রথম ধাপে চা পাতা তোলো শুরু করেন। দুপুরে খাবার খেয়ে বিশ্রাম সেরে আবার পাতা তোলার কাজ শুরু করেন। স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে পাতার বোঝা জমা দেন। গাছের পাতা ভালো থাকলে সকালেই ২০ কেজি করে তোলেন। কিন্তু এবার বৃষ্টি কম হওয়ায় সারাদিনে ২০ কেজি পাতা তোলাও খুব কষ্টকর। এজন্য তাদের বাগানের একসেক্টর থেকে অন্যসেক্টরে গিয়েও পাতা তোলে আনতে হচ্ছে। চায়ের পাতার উৎপাদন স্বাভাবিক রাখার জন্য বাগান কর্তৃপক্ষ পানির সেচ করলেও বৃষ্টির মতো কাজ হয় না। এছাড়া বৃষ্টি কম হলে পোকামাকড়ের আক্রমণও বাড়ে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৯
এসসিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।