ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

পদত্যাগ করলেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদ্যুৎ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
পদত্যাগ করলেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদ্যুৎ

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পথ থেকে পদত্যাগ করেছেন প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) তিনি নিখিল ভারত কংগ্রেস দলের সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর কাছে তার পদত্যাগপত্র পাঠান।

এদিন দুপুরে হঠাৎ এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র হৈ চৈ শুরু হয়ে যায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে লেখালেখি ও নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। এ ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য তাকে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি। এমনকি এ বিষয়ে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র তাপস দেবকে ফোন করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।  

সাবেক কংগ্রেস সভাপতি বীরজীৎ সিনহাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তার পদত্যাগের বিষয়টা জেনেছি। এ বিষয়ে প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মার সঙ্গে তার কোনো কথা হয়নি।

সন্ধ্যায় প্রদ্যুৎ কিশোর ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে ফেসবুকে লাইভ করে জানান যে, ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস দলের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ত্রিপুরার মানুষের কথা চিন্তা করে রাজ্যে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এন আর সি) চালু করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন। কিন্তু দলের একাংশের নেতা তাকে বার বার চাপ দিয়ে আসছেন এন আর সি'র মামলা তুলে নিতে হবে, না হলে তাকে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় এবং ত্রিপুরা রাজ্যের একাংশ নেতৃত্ব সুন্দর করে সাজাতে তাকে বার বার বাধা দেওয়া হচ্ছিল। এসব কারণে তিনি কংগ্রেস দল ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং দলের জাতীয় সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।  

প্রদ্যুৎ কিশোর বলেন, ত্রিপুরাবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। সেইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, ত্রিপুরা রাজ্যের একাংশের নেতা তাদের উপরের স্তরের নেতাদের কথা চিন্তা করে কাজ করেন, দলের কথা চিন্তা করেন না। তাদের প্রতি তার পরামর্শ, তারা যেন দলের জন্য কাজ করেন।

তার এই পদত্যাগে ত্রিপুরা রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির তরফে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানানো হয়েছে যে, তিনি যদি আসতে চান, তবে তারা স্বাগত জানাবেন। তবে একজন সাধারণকর্মী হিসেবে যোগ দিতে হবে। শুধু প্রদ্যুৎ কিশোর কেন যে কেউ বিজেপি দলে যেকোনো সময় আসতে পারেন রাষ্ট্রবাদী চিন্তাভাবনাকে মাথায় রেখে।

সূত্রের খবর, তিনি আরও কিছু জনজাতিভিত্তিক দলকে নিয়ে একটি নতুন দল গঠনের চিন্তা-ভাবনা করছেন। বাস্তবে তিনি কী সিদ্ধান্ত নেন তা জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
এসসিএন/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।