ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

চা প্রক্রিয়াকরণে সিএনজি ব্যবহার করবে ত্রিপুরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
চা প্রক্রিয়াকরণে সিএনজি ব্যবহার করবে ত্রিপুরা বর্তমানে চা প্রক্রিয়াকরণে কয়লা ব্যবহার করে ত্রিপুরা। ছবি: বাংলানিউজ

ত্রিপুরা: ত্রিপুরা রাজ্য চা উন্নয়ন নিগম লিমিটেডের যে চা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে শিগগিরই কয়লার পরিবর্তে সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস সংক্ষেপ সিএনজি) ব্যবহার করা হবে।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) ওই কোম্পানির চেয়ারম্যান সন্তুষ সাহা বাংলানিউজকে একথা জানান।

তিনি বলেন, রাজধানীর পার্শ্ববর্তী দুর্গাবাড়ি এলাকায় তাদের চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা রয়েছে।

কারখানায় চা পাতা শুকানোর জন্য যে ড্রায়ার ব্যবহার করা হয়, সেটি খনিজ কয়লা দিয়ে চালানো হচ্ছে। এমনটা শুধু তাদের প্রক্রিয়াকেন্দ্রে নয়, দেশের বেশিরভাগ চা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে কয়লা দিয়ে ড্রায়ার চালানো হচ্ছে। তবে, শিগগিরই কয়লার পরিবর্তে এই ড্রায়ার সিএনজির মাধ্যমে চালানো হবে।  

বিশাল জায়গা জুড়ে ত্রিপুরার চা বাগান।  ছবি: বাংলানিউজ

তাদের কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করবে ত্রিপুরা ন্যাচারাল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (টিএনজিসিএল)। ইতোমধ্যে টিএনজিসিএলের সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের আলোচনা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে গ্যাস সরবরাহ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি চুক্তি হবে। এরপর কারখানা গ্যাসের মাধ্যমে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ শুরু হবে।

কয়লার পরিবর্তে সিএনজি ব্যবহার করলে কী কী সুবিধা হবে এবং এতে উৎপাদন খরচ কিছুটা কমবে কিনা, এ প্রশ্নের উত্তরে সন্তুষ সাহা বলেন, প্রথমে কয়লার পরিবর্তে গ্যাস ব্যবহারে পরিবেশ দূষণ কম হবে। কারণ কয়লা থেকে যে পরিমাণ ধোঁয়া বের হয়, সে তুলনায় গ্যাস থেকে কোনো ধোঁয়া বহয় না বললেই চলে।  

তিনি আরও বলেন, কয়লার তুলনায় গ্যাস ব্যবহারে খরচ কম না হলেও অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরশীলতা কমবে। কারণ ত্রিপুরায় কোনো কয়লাখনি নেই, তাই জ্বালানি কয়লার জন্য অন্য রাজ্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। কোনো কারণে কয়লা রাজ্যে সময় মতো এসে না পৌঁছালে কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকে। এখন আর এ ধরনের সমস্যা হবে না কারণ সিএনজি ত্রিপুরা রাজ্যে উৎপন্ন হয়।  

তবে সিএনজি পাইপ লাইনের মাধ্যমে কারখানাতে সরবরাহ করা হবে নাকি বিশেষ সিলিন্ডারের মাধ্যমে কারখানা টিএনজিসিএল কর্তৃপক্ষ পৌঁছে দেবে এবং সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে গেলে নতুন সিলিন্ডার দেবে বলেও জানান তিনি।

 চেয়ারম্যান সন্তুষ সাহা।  ছবি: বাংলানিউজ

ত্রিপুরা রাজ্যের মাটির তলায় বিপুল পরিমাণ সিএনজি পাওয়া যায়। তাই রাজ্যের একাধিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ যানবাহন এমনকি বাড়িতে রান্নার জন্য পাইপলাইনের মাধ্যমে সিএনজি সরবরাহ করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
এসসিএন/এফএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।