ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

৬ দফা দাবিতে ত্রিপুরাজুড়ে বামফ্রন্টের বিক্ষোভ কর্মসূচি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২০
৬ দফা দাবিতে ত্রিপুরাজুড়ে বামফ্রন্টের বিক্ষোভ কর্মসূচি ৬ দফা দাবিতে ত্রিপুরাজুড়ে বামফ্রন্টের বিক্ষোভ কর্মসূচি।

আগরতলা (ত্রিপুরা): পেট্রোল, ডিজেলসহ জ্বালানি তেলের যে দাম বাড়ানো হয়েছে, ভারতব্যাপী তা অবিলম্বে কমানো, কয়লা খনি, রেলসহ অন্য রাষ্ট্র মালিকানাধীন সম্পত্তি বেসরকারি হাতে তুলে না দেওয়া, করোনা ভাইরাস ও লকডাউনের কঠিন পরিস্থিতিতে যেসব পরিবার কর দেওয়ার আওতাধীন নয় তাদের পরিবার পিছু প্রতিমাসে সাড়ে সাত হাজার রুপি দেয় এবং প্রতিমাসে মাথাপিছু ১০ কেজি করে চাল দেওয়াসহ মোট ছয় দফা দাবি সামনে রেখে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বামফ্রন্ট।

মঙ্গলবার (৭ জুলাই) ত্রিপুরা রাজ্যজুড়ে এ কর্মসূচি হয়।

ত্রিপুরা রাজ্যের মূল কর্মসূচিতে অনুষ্ঠিত হয় আগরতলায়।

রাজধানীর সূর্য চৌমুহনী থেকে শুরু হয়ে কামান চৌমুহনী, জ্যাকসন গেট হয়ে তুলসীবতী স্কুলের সামনে এসে শেষ হয় লাইন। রাস্তার পাশে সিপিআইএমসহ মোট পাঁচটি বামফ্রন্টের শরিক দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সামিল হয়েছিলেন এ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে। দীর্ঘ প্রায় দেড় কিলোমিটার লম্বা হয়েছিল লাইনটি। উপস্থিত সবার হাতে এবং গলায় তাদের দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ঝোলানো ছিল।

এদিন প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হয়েছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বর্তমান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার, সিপিআইএম দলের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক গৌতম দাস, বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন ধর, সিপিআইএমের পশ্চিম জেলা কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর, সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতির নেত্রী রমা দাস প্রমুখ।

প্রতিবাদ কর্মসূচি শেষে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার সংবাদমাধ্যমের সামনে তাদের দাবির সমর্থনে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সরকার করোনা ভাইরাস এবং লকডাউন নাম করে মানুষের প্রতিবাদ আন্দোলন স্তব্ধ করতে পারবে না। ত্রিপুরা রাজ্যে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠার পর মানুষের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছিল কিন্তু এখন মানুষ অনুভব করতে পারছেন যে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই তারা আবার প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে শুরু করেছেন। সরকার যেসব জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে, নাহলে আগামী দিনে মানুষ আরও বেশি প্রতিবাদী হয়ে উঠবে। ’

অপরদিকে সিপিআইএমের পশ্চিম জেলা কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ জানান, এদিন যখন পশ্চিম জেলার অন্তর্গত মোহনপুর এলাকায় সিপিআইএমের কর্মী-সমর্থকরা ছয় দফা দাবি সামনে রেখে ধর্না কর্মসূচি করছিলেন, তখন শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতিকারীরা সিপিআইএম কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এ হামলার ঘটনায় ১০ থেকে ১২ জন সিপিআইএম কর্মী আহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২০
এসসিএন/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।