ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

ত্রিপুরায় উন্নত প্রজাতির পেয়ারার পরীক্ষামূলক চাষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২১
ত্রিপুরায় উন্নত প্রজাতির পেয়ারার পরীক্ষামূলক চাষ

আগরতলার, (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা সরকারের কৃষি দপ্তরের অন্তর্গত উদ্যান ও ভূমি সংরক্ষণ বিভাগ নতুন প্রজাতির পেয়ারা চাষ শুরু করেছে। এই প্রজাতির নাম ভিএনআরবিহি (বিআইএইচআই)।

 

রাজধানী আগরতলার পাশের নাগিছড়া এলাকার উদ্যান গবেষণাগারের ফল বাগানের প্লটে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রজাতির গাছ রোপণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভিইনআর নার্সারির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী দেবেশ শুক্লা এবং সৌরভ প্রধান, উদ্যান এবং ভূমি সংরক্ষণ বিভাগের ডিরেক্টর ড. ফণিভূষণ জমাতিয়া, ডেপুটি ডিরেক্টর রাজীব ঘোষ, অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর সাগরিকা ভট্টাচার্যী, রাজশ্রী চক্রবর্তীসহ অন্যান্য আধিকারিক ও কর্মকর্তারা।  

এই প্রজাতির এক একটি পেয়ারার কাটিং করা গাছ নার্সারিতে লাগানোর চার মাসের মধ্যে ফুল চলে আসে ও প্রচুর পরিমানে ফল ধরে। তবে এক বছর পর ফল ধরলে গাছের বৃদ্ধি অনেক ভালো হয়। এক একটি ফলের ওজন ১ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং এগুলোতে কোনো বীজ হয় না ফলে খেতে খুব সুস্বাদু। গাছ থেকে তোলে নেওয়ার পর ১০দিন পর্যন্ত স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সতেজ থাকে এবং নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় এগুলোকে সংরক্ষণ করলে এক মাস পর্যন্ত সতেজ থাকে। যেখানে অন্য সব প্রজাতির পেয়ার গাছ থেকে সংগ্রহ করার পর মাত্র ৩দিন পর্যন্ত স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সতেজ থাকে। তাই বাণিজ্যিকভাবেও এটি সফল বলে জানান বিজ্ঞানী দেবেশ শুক্লা। তিনি আরও জানান, এটি ছত্রিশগড় রাজ্যের রাজধানী রায়পুরের কৃষি গবেষণাগারে উদ্ভাবন করা হয়েছে। কৃষি গবেষণায় গত ৫০বছর ধরে সাফল্যের সঙ্গে কাজের জন্য ড. নারায়ণ চাওড়াকে ভারত সরকার কৃষি পণ্ডিত সম্মাননায় ভূষিত করে, তিনি এই প্রজাতির পেয়ারার প্রজাতি উদ্ভাবন করেছেন।  

উদ্যান এবং ভূমি সংরক্ষণ বিভাগ পরীক্ষামূলকভাবে মোট ২ হাজার ৫শটি গাছ লাগাচ্ছে। এগুলোতে সাফল্যভাবে ফল ধরলে রাজ্যের চাষিদেরও উৎসাহিত করা হবে এই পেয়ারা চাষে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২১
এসসিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।