ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

আত্মশু‌দ্ধির আহ্বানে আকাশে শতো ফানুস

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৬
আত্মশু‌দ্ধির আহ্বানে আকাশে শতো ফানুস ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজার মাঠ, বান্দরবান থেকে: বান্দরবানের আকাশে এখন উড়ছে শত শত ফানুস। নিন্দনীয় ও অপরাধমূলক ভুল শুধরে দিয়ে আত্মশু‌দ্ধি অর্জনের আহ্বান নিয়ে দিগন্ত থেকে দিগন্তে উড়ে যাচ্ছে এ ফানুস।

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ৩ মাস বর্ষাবাস ব্রত পালন শেষে সোমবার (১৭ অ‌ক্টোবর) সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় জাঁকালো প্রবারণা পূ‌র্ণিমা উৎসবের। উৎসবের আনুষ্ঠা‌নিকতা ও আপ্যায়ন প‌র্ব শেষে ওড়ানো হয় এ ফানুস।


প্রথমে রাজগুরু বনভান্তে অ‌তিথিদের নিয়ে ফানুস ওড়ানোর উদ্বোধন করেন। এরপর হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে ওড়ানো হতে থাকে হাতিসহ বি‌ভিন্ন রং ও অবয়বের নানা প্রতীকের ফানুস।

মিনিট কয়েকের মধ্যেই শহরের আকাশ হয়ে ওঠে ফানুসের রঙে র‌ঙিন। কিছু ফানুস যেতে থাকে দূর থেকে দূরে, যেন মনে হয় আকাশের নতুন তারা। ফানুস ওড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে চলতে থাকে আতশবাজি ফাটানো। আকাশ র‌ঙিন করার এ উৎসবে নতুন মাত্রা যোগ করে নানা রঙের আতশবাজি।

প্রত্যেক ফানুস ওড়ানো আর আতশবাজির সময় মানুষের উল্লাসে মুখ‌রিত হয়ে ওঠে রাজার মাঠ। এই ফানুস ওড়ানো আর আতশবাজির সময় চলতে থাকে মূল মঞ্চের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ ‘মাহাঃ ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ’ উৎস‌ব উপলক্ষে পুরো বান্দরবান যেন রূপ নেয় নতুন সাজে। রাজার মাঠের অধিকাংশ জায়গাজুড়ে প্যান্ডেল তৈরি করে অনুষ্ঠানস্থলকে সাজানো হয় রঙ বেরঙয়ের বেলুন, জরি ও ফিতা দিয়ে। মাঠের বাইরে ও মূল সড়কের চারপাশ সাজানো হয় বর্ণিল আলোকবাতি দিয়ে। বসে রকমারি পণ্যের পসরা।
 
বিকেল থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে রাজার মাঠে। সন্ধ্যা নাগাদ লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানস্থল। সন্ধ্যার পর থেকেই মূল মঞ্চে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্যান্ডেলের দেওয়ালে পাওয়ার পয়েন্টে ও মিউজিক সিস্টেমে বাজানো হয় মারমাদের নিজস্ব সংগীত। প্যান্ডেলের ভেতরে চার সারিতে লম্বাভাবে টেবিলে দেওয়া প্লেট সাজানো হয় ২৭ পদের পাহাড়ি-বাঙালি মুখরোচক সব খাবার দিয়ে। যাতে ছিল পাহাড়ের বিন্নি চালের তিন পদের পিঠা, পায়েসের সঙ্গে বাঙালি আমিত্তি, সমুচা, দুই রঙের জিলাপি, রোল, তিলের নাড়ু, খাজা, বরফি, মিষ্টি, রসগোল্লা, দধি, নিমকি, মাটির ছোট শানকি আকৃতির পাত্রে বিশেষ ছানা মিষ্টি। আয়োজনে আপ্যায়নের জন্য ৪১ সদস্যদের একটি দল আনা হয় চট্টগ্রাম থেকে।
 
ভরপূর্ণিমার চাঁদের আলোয় আয়োজিত এ উৎসবে উপস্থিত ছিলেন রাজবন বিহারের প্রধান ভান্তে উ প ঞ ঞ্যা জোত থেরো ( উ চ হ্ল ভান্তে)। তিনি উৎসবের তাৎপর্য নিয়ে বক্তৃতা করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং। আরও উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন পরিষদের সচিব নব কিশোর বিক্রম ত্রিপুরাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বাংলা‌দেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, অ‌ক্টোবর ১৭, ২০১৬
এএ/‌জেডএম/এটি/এইচএ/

** জলের ওপর বসতভিটে
** হ্রদের জলে কার ছায়া গো!
** সড়ক যেন আকাশছোঁয়ার খেলায় (ভিডিও)
** সাজেকের ভাঁজে ভাঁজে প্রকৃতির সাজ
** মানিকছড়ির ফুলের ঝাড়ুতে পরিচ্ছন্ন সারাদেশ
**নট ইউজিং ‘ইউজ মি’

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে এর সর্বশেষ