ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

প্রথম সুন্দরবন যাত্রায় শুশুকের অভ্যর্থনা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
প্রথম সুন্দরবন যাত্রায় শুশুকের অভ্যর্থনা চোখজুড়ানো সবুজ সুন্দরবনের এ ছবি তুলেছেন আসিফ আজিজ।

ঘুমের পর আড়মোড়াটাও চলে গেছে সূর্যের। পুরোপুরি লাল হয়ে উঠেছে খোলপেটুয়া নদীর পুব দিক থেকে। এই লাল সূর্যের আলো পড়ছে নদীর স্বচ্ছ পানিতে।

সুন্দরবন (সাতক্ষীরা) ঘুরে: ঘুমের পর আড়মোড়াটাও চলে গেছে সূর্যের। পুরোপুরি লাল হয়ে উঠেছে খোলপেটুয়া নদীর পুব দিক থেকে।

এই লাল সূর্যের আলো পড়ছে নদীর স্বচ্ছ পানিতে। লঞ্চটা তখন উত্তর থেকে দক্ষিণমুখী। সেজন্য এর সামনের অংশটায় দাঁড়িয়ে দেখা যাচ্ছিল, পুব দিকের নদীর স্বচ্ছ পানিতে ছোট ছোট ঢেউয়ের ওপর নবসূর্যের আলোর খেলা। ঢেউয়ের ওপর লাল আলোর ঝলকানিতে মনে হচ্ছিল নদীতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সোনার কণা পড়ে আছে। অজস্র কোটি সেই সোনার কণা নৃত্যও করছে বুঝি। লঞ্চের পাশ থেকে একেবারে পুবের ঘন বন পর্যন্ত এই ঢেউ-আলোর খেলা।
 
এরমধ্যেই হঠাৎ লঞ্চ চালক আবদুল হালিমের হাঁক-ডাক, ‘এই শুশুক, শুশুক!’ হালিম এবং লঞ্চযাত্রার আরও দুয়েকজন সামনে ছিলেন। সেজন্য পানির উপরে ভুস ভুস করে লাফিয়ে ওঠা শুশুক দেখেই তারা উল্লসিত হয়ে পড়লেন। এ যে প্রথম সুন্দরবন যাত্রার প্রথম অভ্যর্থনা, ‘গার্ড অব অনার’! হোক তা মাত্র একটির!

নদীতে যেন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সোনার কণা পড়ে আছে! ছবি: আবু বকর

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জ থেকে ভোরের কুয়াশা কাটতে কাটতে টমটম পৌঁছালো নীলডুমুর ঘাটে। এই ঘাট খোলপেটুয়া নদীর তীর ঘেঁষে। স্বচ্ছ জলের খোলপেটুয়া এসেছে উত্তর থেকে। এটি ওপরের দিকটায় কখনো বেতনা কখনো মরিচ্চাপ নদী হয়ে দক্ষিণমুখে এগিয়েছে। আর নীলডুমুর ঘাট পেরিয়ে কলাগাছিয়ার আগে পুবদিকে বাঁক নিয়ে পারশেমারির কাছে কপোতাক্ষ নদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আগ পর্যন্ত এটি ফেলে এসেছে নওয়াবেকি ও বুড়িগোয়ালিনী। এখানে নাপিতখালি ঘাটের কাছে পারশেমারি বা ত্রিমোহনীতে নাম নিয়েছে আড়পাঙ্গাশিয়ায়।
 
ঘাটে আসতেই চোখ পড়লো পূর্বে। চোখ খোলার জন্য সুন্দরবনের কুয়াশার সঙ্গে লড়াই করছে সূর্যটা। কুয়াশার ওপাশে দেখা মিলছিলো সাতক্ষীরার ছোট্ট দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার। সিডর-আইলার অনেক তাণ্ডবের সাক্ষী সুন্দরবনের এই ইউনিয়ন। নীলডুমুর ঘাট থেকে রওয়ানা দিয়ে খোলপেটুয়ার শীত-কুয়াশার সঙ্গে লড়ে এগোচ্ছিল লঞ্চ। চোখের সামনে আড়মোড়া ভেঙে ওপরে উঠতে থাকলো রবিরাজ। এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা, সূর্যের সোনারোদ এক ফালি হয়ে পড়ছে নদীর বুকে, সেই রোদকে গায়ে মেখে এগিয়ে চলেছে দূরের একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ। খোলপেটুয়ার এই রোদ-কুয়াশা-জলের খেলা দেখতে দেখতে লঞ্চ ভিড়লো গাবুরার চাঁদনীমুখা ঘাটে।
সূর্যের সোনারোদ গায়ে মেখে এগিয়ে চলেছে দূরের একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ।  ছবি: আসিফ আজিজ

ভাটির টানে পানি তখন চাঁদনীমুখার জেটিরও নিচে নেমে গেছে। উত্তর থেকে দক্ষিণমুখী জেটির দু’ধারে টানাজালে গলদা চিংড়ির পোনা ধরছিলেন কয়েকজন জেলে। খানিক ওপরে চরছে কয়েকটি ছাগল। লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এখানে গরু-ছাগল-ভেড়া-হাস-মুরগি সবই পালন হয়। দ্বীপ ইউনিয়নটির তিন দিকে ৩টি বাজার আছে। চাঁদনীমুখা বাজারে গিয়ে কথা হলো স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে। কথা হলো আলোচিত বাঘ শিকারি পচাব্দি গাজীর ভাই-ভাতিজাদের সঙ্গেও। এই পচাব্দি গাজীকে একসময় নাকি ভাড়া করে বাঘ মারার জন্য নেওয়া হতো, সেসময় অবশ্য মানুষখেকো বাঘ মারা নিষিদ্ধ ছিল না।
 
গাবুরার কিছু এলাকা ঘুরে বোঝা গেল, আইলা কেবল এই দ্বীপ এলাকার আবাসই নষ্ট করে যায়নি। পুকুর-ডোবা প্লাবিত করে লোনা পানি ফেলে এখানে স্বাদু পানির সংকটও তৈরি করে গেছে। মানুষ এখন বৃষ্টির পানি আর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার মিষ্টি পানির ওপর নির্ভরশীল।

চাঁদনীমুখার পূর্ব দিকের ঘাট থেকে লঞ্চ এবার রওয়ানা দিলো দোবেকির উদ্দেশে। খানিকদূর যাওয়ার পর ত্রিমোহনী। এখানেই উত্তর থেকে এসে মিলেছে কপোতাক্ষ নদ, খোলপেটুয়ার যাত্রা শেষ হয়েছে এখানে, এরপর থেকে খোলপেটুয়া দক্ষিণ-পুবে এগিয়েছে আড়পাঙ্গাশিয়া নাম নিয়ে।

অভ্যর্থনা জানাতে এলো বানরের দল! ছবি: আসিফ আজিজসুন্দরবনের ‘শুশুক অভ্যর্থনা’টা শুরু এই আড়পাঙ্গাশিয়া থেকেই। যে ক’জন লঞ্চের সামনের দিকে ছিলেন, তারাই ডলফিনের বিরল প্রজাতি শুশুকের ভুস ভুস করে লাফিয়ে ওঠা ‘উষ্ণ অভ্যর্থনা’ পেলেন। কিন্তু যারা প্রথম দেখা পেলেন না, তাদের আর দেখা দিলেন না ‘শুশুক মহাশয়’। না দিন তিনি, সামনে আরও ‘অভ্যর্থনা সূচি’ আছে না?

সূচি মেনেই যেন এবার সামনে এলো ৮-১০টি বানরের দল। হাতের ডান দিকটায় সাপখালী এলাকা। সাপখালী খালের নামে পরিচিত এটি। এখানে নাকি বাঘ আছে। এই বাঘের এলাকা থেকে এসেছে বলেই কিনা ক্যামেরার ক্লিক ক্লিকেও ভাবের বদল দেখা যাচ্ছিলো না তাদের মধ্যে। কয়েকটা বানর যেন উল্টো ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে পোজ দিতে চাইলো। এই অগ্রবর্তী দলের পর সামনে দেখা যায় বানরের আরও একটি ছোট দলকে। সেই একই ভাবগতি, ‘সুন্দরবনে এসেছো, আমাদের ছবি তোলার কী আছে?’

টানা লঞ্চ ছুটতে থাকলো, দোবেকির উদ্দেশ্যে। আবদুল হালিম বলছিলেন, এই খোলপেটুয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া হয়ে সাতক্ষীরা-খুলনার অনেক ঘাটে যাতায়াত করতে পারেন যাত্রীরা। এরমধ্যে চকবারিয়া, ডুমুরিয়া, হরিশখালী, দৃষ্টিনন্দন, চাঁদনীমুখা, পারশেমারি, নাপিতখালী ও ঘড়িলালের কথা বলা যায়। ঘড়িলাল খুলনার কয়রার ঘাট। দোবেকিমুখী লঞ্চ খলিশিবুনিয়া পর্যন্ত পৌঁছানোর আগে বাঁয়ে ফেলে গেছে খাসিটানা, ষাটবাড়িয়া, বাটুলিয়া ও কুঞ্চি নদী, আর ডানে ফেলে গেছে সাপখালী এলাকার কয়েকটা খাল। এই নদীগুলো সুন্দরবনের দ্বীপ বনাঞ্চলগুলোকে একটির কাছ থেকে আরেকটিকে আলাদা করে রেখেছে বলেই বোঝা যায়। পুরো যাত্রায়ই মাঝে-সাঝে দেখা মিলেছে মাছ শিকারি বালিহাঁসের। লঞ্চ আসতে দেখে দেয় উড়াল, আবার সামনে গিয়ে দেয় ডুব। আবার দেয় উড়াল, আবার দেয় ডুব।

এই পানিতে ডুব দেয় তো, এই ঝাঁক বেঁধে উড়াল দেয় বালিহাঁসের দল।  ছবি: আসিফ আজিজএই যাত্রায় নদীর মোড় মোড়ে বনের সামনের অংশটায় পিলারের মতো খুঁটির কিছু নির্দেশকও দেখা গেছে। হালিমের মতে, কোনো লঞ্চ কুয়াশা বা অন্ধকারে পড়ে গেলে যখন সার্চ লাইট জ্বালায়, তখন খুঁটিগুলোর ওপরের সাদা অংশটা জ্বলজ্বল করে, তখন লঞ্চের চালকরা বুঝতে পারেন, সামনেই বন রয়েছে, সুতরাং দিক ফেরাতে হবে।

খলিশিবুনিয়া পর্যন্ত পৌঁছাতেই লঞ্চ চালক ঘড়ির দিকে তাকাতে বললেন। ফিরতে আবার দেরি হয়ে যাবে বিধায় অগত্যা খলিশিবুনিয়া থেকে একেবারে ডানেই বাঁক নিতে হলো। এই মোহনা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে চলে গেছে স্রোতস্বীনি কাটেশ্বর ও মুললে।
লঞ্চের পথ দেখানোর নির্দেশক সুন্দরবনে।  ছবি: আসিফ আজিজ
এতোক্ষণ পর্যন্ত নদীর ঠিক তীর ঘেঁষে যাওয়া যাচ্ছিল না, যে কারণে সুন্দরবনকে ‘সুন্দরবন’ পরিচিতি দেওয়া গাছ-গাছালি ঠিক ধরা যাচ্ছিলো না। খলিশিবুনিয়ায় ঢুকতেই ধরা দিলো ‘সুন্দরী’ সুন্দরবনের আসল রূপ। সুন্দরী, বাইন, পশুর, কেওড়া, গেওয়া, গরান, ধুন্দল, গোলপাতা, খাগড়া, খলিশা, হেতাল, শ্বাসমূলসহ নাম না জানা অসংখ্য ঘাস-গুল্ম-গাছের রাজ্য যেন। ভাটির টানে পানি নিচে নেমে গেছে বিধায় সারি সারি শ্বাসমূল চোখ খুলে তাকিয়েছে, জোয়ার এলে যে তাদের পানির নিচে ডুবে থাকতে হয়!

লঞ্চ এগোয়, খলিশিবুনিয়ার ডানে-বাঁয়ে ঢুকে পড়ে অসংখ্য খাল। কোনোটা কয়েক হাত প্রস্থের তো কোনোটা একেবারে খলিশিবুনিয়ারই আকৃতির। লম্বা সময় যাত্রার পর খলিশিবুনিয়ার এক তীরে লঞ্চ ভেড়ান চালক। সহযাত্রীরা নিজেদের মতো ক্লিক ক্লিক সেরে নেন। এক ‘সাহসী’ সহযাত্রী তো লঞ্চ থেকে নেমে পায়ে কাঁদা মেখে একেবারে বনে ঢুকে যেতে চাইলেন। নেমেছেন তিনি, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের নখরের থাবা কল্পনা করতেই অন্যদের শরীর যেন ভয়ে হিম হয়ে গেল। পরে ছবি তোলার ছলেই তাকে ফেরানো হলো!
ঘাস-গুল্ম-গাছের রাজ্য সুন্দরবন।  ছবি: আসিফ আজিজ
লঞ্চ আবার যাত্রা করলো। পাশ দিয়ে ভঁ ভঁ শব্দ তুলে যাচ্ছিলো নৌনিরাপত্তা বাহিনীর একটি স্পিডবোর্ড। বোঝা গেল, খলিশিবুনিয়ায় পর্যটক কম এলেও নিরাপত্তারক্ষীদের টহল থেমে থাকে না।
 
এরমধ্যেই সামনে দিয়ে ফুডুৎ করে উড়ে গেল একটি মাছরাঙা। মাছরাঙার হরেক প্রজাতি আছে। কিন্তু এটি কোন প্রজাতির, ঝোঁপের কোলে হারিয়ে যাওয়ায় তার পরিচিতি পাওয়া গেলো না। খানিকবাদে দেখা গেলো সন্তর্পণে অপেক্ষমান এক শিকারি বককে।
 
গল্প-গানে লঞ্চ পৌঁছালো কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রে। লঞ্চ ঘাটে ভেড়ার সময়ই চোখে পড়লো এখানে জেটির দু’পাশে বেশ ক’টা বানর অভ্যর্থনা জানাতে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু কাছ ঘেঁষতেই সরে গেলো, ‘কাছে আসো কেন বাপু?’ এখানে বানরকে তার ইচ্ছেমতো ঘুরতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ছাউনির মতো গোলঘর পেরিয়ে ডানে এগোতেই মায়াবী চিত্রা হরিণের খাঁচা। পাশ ঘেঁষতেই মুখটা বাড়িয়ে দেয়, যেন খাঁচার ভেতর দিয়ে কিছু চাইছে। আরও একটু ভেতরে এগোতে মিষ্টি পানির পুকুর। তার আশপাশে কয়েকটি হরিণের সঙ্গে ‘সেলফি-ভিডিও’ করতে ব্যস্ত বেশ ক’জন পর্যটক। এখানটায়ও শ্বাসমূলের আরেক রাজ্য দেখা গেল।
খাঁচার পাশে দাঁড়াতেই মুখ বাড়িয়ে দেয় মায়াবী চিত্রা হরিণ।  ছবি: আবু বকর
পুকুর ঘুরে বাম দিকে সোজা গেলে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। এখান থেকে পুরো ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র দেখা যায়। ওপর থেকে ঘন সবুজের ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রটিকে মনে হয়, গাছ-গাছালির রাজ্য এটি। এই পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের সামনেও একটি মিষ্টি পানির পুকুর আছে। এখান থেকে সোজা গেলে জেটি, আবার ডানে গেলে কাঠবিছানো পথ। এ পথে দেখা যায় দু’পাশের গাছ-গাছালি, ভাগ্য সহায় হলে সুন্দরবনের অন্য পশু-পাখিও। পাঁয়ে হেটে ১৫ মিনিটের এই পথও ঘুরে এসে মিলেছে জেটি ঘাটে। ফেরার বেলায়ও সেই বানর। সামনে দুয়েকটা তো পথ আগলে রাখতে চাইছিলো যেন, ‘কোথায় যাচ্ছো বাপু হে?’
 
কলাগাছিয়া থেকে লঞ্চ ফের যাত্রা করলো খোলপেটুয়া হয়ে নীলডুমুর ঘাটের উদ্দেশে।   কলাগাছিয়া দক্ষিণ-পশ্চিমে চলে গেছে ভারতের দিকে। ভারতে ঢোকার আগে এ নদী নাম নিয়েছে মালঞ্চ বলে। তার সঙ্গে নিচের দিক থেকে সমানভাবে ঢুকেছে মামুদা নামে আরেকটি নদী। সুন্দরবনের ক্যানভাস গাছ-গাছালি দেখা গেলো, দেখা গেলো ক্যানভাসের ভেতরের হরিণ, বানর, বালিহাস, মাছরাঙা, শুশুকও। কিন্তু দেখা মিললো না ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য বলে স্বীকৃত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমুদ্রোপকূলবর্তী ম্যানগ্রোভ বনের গর্ব রয়েল বেঙ্গল টাইগারের। এই আক্ষেপটা যেন সান্ত্বনা খুঁজছিলো এই বলে যে, ‘হবে পরের বার!’

** ফুলতলার গামছাশিল্প বাঁচাবে কে!
**ফুলতলার দেশসেরা গামছা
**সবচেয়ে বড় এক গম্বুজের মসজিদ বাগেরহাটে

**বাগেরহাটে মধ্যযুগীয় সড়কের পথ ধরে
**ফের জাগছে খান জাহানের খলিফাতাবাদ নগর!
**শতভাগ বৃক্ষশোভিত বেতাগার সবুজছায়
**রিয়েলাইজেশন অব ডিজিটালাইজেশন


বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
এইচএ/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে এর সর্বশেষ