প্রতিবার নির্বাচন এলেই বিশেষ করে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে রক্তপাত হয় বিভিন্ন সংঘর্ষে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে সাত জন নিহত হয়েছিলো এখানে।
তিনি বলেন, দেখুন যেই দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন দুর্নীতি, রক্তপাত লেগেই থাকে। তাই আমরা এবার এমন একজন মানুষ চাই যিনি হবেন সৎ। এলাকার মানুষের সুখ-দু:খের কথা শুনবেন। তাদের সমস্যা নিরসনে কাজ করবেন। গম দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি বন্ধ হবে। কথায় কথায় সংঘর্ষও বন্ধ করতে হবে। কারণ আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমাদের জন্য এসব রাজনীতি চলে না। আমরা কোনো রক্তপাত চাই না।
ঠাকুরগাঁওয়েরই আর এক বাসিন্দা সোহাগ বলেন, দল যাই হোক, আমরা চাই একজন সৎ মানুষ, যিনি নির্বাচনের পরও আমাদের খোঁজখবর রাখবেন। কেউ বলছেন বিএনপির কথা, কেউবা বলছেন আওয়ামী লীগের কথা। কিন্তু আর যাই হোক, এবার অন্তত একজন সৎ মানুষ দরকার আগামী দিনের এমপি হিসেবে।
আরিফুল ইসলাম নামে আর এক ভোটার বলেন, সততার পাশাপাশি এলাকার মানুষের চাহিদা ও দাবিকে মূল্যায়ন করতে হবে রাজনীতিকদের। সৎ মানুষের বিকল্প নেই, এটা ঠিক। কিন্তু সেই সাথে মানুষের দাবি ও উন্নয়নের দিকেও নজর দিতে হবে। যেমন আমরা একটু অসুস্থ হলেই ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে গেলে আমাদের রংপুর পাঠিয়ে দেয়। ফলে আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। তাই ঠাকুরগাঁও এর তিন লাখ মানুসের জন্য দরকার একটি আধুনিক হাসপাতাল।
আলোচনায় এক এক জনের এক এক ইস্যুতে সরগরম হয়ে ওঠে চাযের দোকান। এর মধ্যে উঠে আসে নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়। জামান মিয়া বলেন, যে দলই আসুক, তারা শুধু টাকা পয়সা নিয়ে ছেলেপেলেদের চাকরি দেয়। ফলে গরীব ঘরের মেধাবী ছেলেরা কাজ পায় না। টাকার কারণে যাতে এসব ছেলেমেয়ে বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। আর নয়তো এসব মেধাবীই এক সময় বিপথে চলে যেতে পারে।
ঠাকুরগাঁবাসীর একটাই দাবি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে যাতে সৎ মানুষকেই প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ বা বিএনপি।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৭
ইউএম/জেডএম