ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

১০ ফুট লম্বা ‘পাগলা রাজার’ দাম হাঁকা হচ্ছে ১৭ লাখ!

টিপু সুলতান, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৯ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৩
১০ ফুট লম্বা ‘পাগলা রাজার’ দাম হাঁকা হচ্ছে ১৭ লাখ!

পাবনা (ঈশ্বরদী): সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাইয়ে লালন পালন করা হয়েছে তাকে। শখ করে নাম রাখা হয়েছে ‘পাগলা রাজা’।

গায়ের রঙ কুচকুচে কালো, উচ্চতা ৬ ফুট আর লম্বায় ১০ ফুট। ঈশ্বরদীতে এবারের কোরবানি ঈদের হাট কাঁপাবে সে।

খামারি রেজাউল করিমের দাবি, ষাঁড়টির ওজন হবে ৪০ মণ। সে কারণে তিনি দাম হাঁকছেন ১৭ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে গরুটি দেখতে তার বাড়িতে ভিড় করছেন নানা বয়সী মানুষ। আর কিনতে দরদাম করছেন পাইকাররা।

গরু খামারি রেজাউল করিম পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে। ২০১১ সালে তিনি গরুর খামার শুরু করেন। তিন বছর আগে ৩০ মণ ওজনের একটি বড় গরু তিনি পালন করেছিলেন।

আলাপকালে জানা যায়, শখের বসে প্রায় ৫ বছর আগে ঈশ্বরদীর অরনকোলা হাট থেকে ৫৭ হাজার ৮শ’ টাকায় হলস্টেইন ফিজিয়ান জাতের একটি বাছুর কিনে লালন-পালন শুরু করেন তিনি। স্বাস্থ্যকর পরিবেশে রেখে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে লালন-পালন করা ওই বাছুর এক বছর যেতে না যেতেই চোখে পড়ার মতো ষাঁড়ে পরিণত হয়।

শান্তশিষ্ট দেখে শখ করে ‘পাগলা’ বলে ডাকতে থাকেন খামারি রেজাউলসহ বাড়ির সবাই। একপর্যায়ে গরুটির নাম রাখেন ‘ঈশ্বরদীর পাগলা রাজা’।

খামারি রেজাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, ভুট্টা, জব, কাঁচা ঘাস, কালাইয়ের ভুষি, গমের ভুষি এবং ধানের খড় খাইয়ে মোটাতাজা করা হয়েছে ঈশ্বরদীর পাগলা রাজাকে। কোনো কেমিক্যাল বা মেডিসিন ব্যবহার করা হয়নি।

খামারি রেজাউল করিমের দাবি, বর্তমানে ঈশ্বরদীর পাগলা রাজার ওজন ৪০ মণ। তিনি দাম হাঁকছেন ১৭ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে ব্যাপারী ও পাইকাররা আসছেন গরুটি কিনতে। উপযুক্ত দাম পেলে বিক্রি করার আশা রেজাউলের।

রেজাউলের স্ত্রী আসমা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে লালন পালন করতে গিয়ে পাগলা রাজার মায়ায় পড়ে গেছি আমরা। তাকে ছাড়তে ইচ্ছে করছে না। মন খারাপ লাগছে। কিন্তু কি করবো। একদিন তো বিক্রি করতেই হবে। ধরে রাখার তো উপায় নাই।

এদিকে এত বিশাল ষাঁড় দেখতে বাড়িতে ভিড় করছেন নানা বয়সী মানুষ। নানা জনে দিচ্ছেন নানা মত। খোঁজ খবর নিচ্ছেন ব্যাপারীরাও।

দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হক বকুল সরদার বাংলানিউজকে জানান, রেজাউলের খামারে বিশাল ষাঁড় আছে শুনে দেখতে আসছেন তারা। এর আগে কখনও এত বড় গরু তারা দেখেননি। তাদের ধারণা গরুটির ওজন হবে ৩২ থেকে ৩৫ মণ। গরুটি দেখে তাদের খুব ভালো লেগেছে।  

ঈশ্বরদী উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় অনেক খামারি কোরবানি ঈদ সামনে রেখে গরু মোটাতাজা করেছেন। এবার খামারিরা বেশ লাভবান হবেন। খামারি রেজাউল করিমও তার বড় গরুটি লাভজনক দামে বিক্রি করতে পারবেন বলেন আশা করেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।