সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ প্রকৃতির সাথে এক ধরনের বৈরিতা সৃষ্টি করে চলেছে। যেখানে জীবন যাপনের প্রয়োজনে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করার বিষয়টি নিত্য-নৈমিত্তিক হয়ে উঠেছে।
এই প্রচুর সংখ্যক মানুষের জীবিকা ও কর্মসংস্থানের প্রয়োজনে স্বাভাবিকভাবেই শিল্পায়নকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। আর এই শিল্পায়ন ঘিরেই আধুনিকতার প্রতিযোগিতা দিন শেষে আমাদের প্রকৃতিকে প্রতিনিয়ত ভারসাম্যহীন করে তুলছে।
সঙ্গত কারণেই শিল্পায়নের এই প্রতিযোগিতা বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ব্যাপক উদ্দীপনা যোগাচ্ছে। শিল্পোন্নত হওয়ার স্বপ্নে বিভোর মানুষেরা নিজের অজান্তেই প্রকৃতির সঙ্গে নিজের দূরত্ব সৃষ্টি করছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষিকাজ।
কৃষি প্রধান এই দেশে এখনো বেশিরভাগ মানুষ কৃষির সাথে জড়িত। শুধু গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে কৃষিকাজ এখন অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে। গম চাষ তার মধ্যে অন্যতম। তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে গমে ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এর ফলে উৎপাদন দিনে দিনে হ্রাস পাচ্ছে।
এ সমস্যা উত্তরণে ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী গম-এর জাত উদ্ভাবন সময়ের প্রয়োজন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বিধায় এ বিষয়টি নিয়ে নিরন্তর গবেষণা চলছে।
প্রতিকূল পরিবেশে বাংলাদেশে গম চাষের সম্ভাবনা নিয়ে নির্মিত হয়েছে তথ্যচিত্র ‘জলবায়ু পরিবর্তন: বাংলাদেশে গমের ব্লাস্ট রোগ’। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে গম চাষের প্রতিবন্ধকতা এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিবেচনায় কিভাবে উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় গতিশীলতা ধরে রাখা যায় তা তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়েছে।
তথ্যচিত্রটি পরিচালনা করেছেন কে এম মাহমুদ হাসান। অনুষ্ঠানটি মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে এটিএন বাংলায় সম্প্রচার করা হবে।
এনডি/এএটি