ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

বিনা উদ্ভাবিত জাত সম্প্রসারণ ও শস্যবিন্যাসে অন্তর্ভুক্তিকরণ কর্মশালা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২৪
বিনা উদ্ভাবিত জাত সম্প্রসারণ ও শস্যবিন্যাসে অন্তর্ভুক্তিকরণ কর্মশালা

সাতক্ষীরা: ‘খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলায় বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তিসমুহ সম্প্রসারণ ও বিদ্যমান শস্যবিন্যাসে অন্তর্ভুক্তিকরণ’ শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিনা সাতক্ষীরা উপকেন্দ্র ‘বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালার প্রথম পর্বে সাতক্ষীরা ও খুলনার কৃষক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, বীজ ডিলার, এনজিও, বিনা, বারি, ব্রি, বিএডিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ অধিক্ষেত্রের ১০০ জন এবং দ্বিতীয় পর্বে নড়াইল ও বাগেরহাটের ১০০ জন অংশ নেন।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিনার উদ্ভিদ দেহতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. বাবুল আকতার।

এতে তিনি খুলনা অঞ্চলে জলাবদ্ধতা, লবণাক্ততা, জমি দেরিতে ফসল চাষের উপযোগী হওয়া, সেচ সংকট, উপযোগী জাতের সংখ্যা কম হওয়া ও মাটি ব্যবস্থাপনাসহ নানা সমস্যার কথা উল্লেখ করে ফসলের জাত নির্ধারণ, চাষাবাদ, ফসল উৎপাদন এবং বীজ সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের নানা কৌশল তুলে ধরেন।

কর্মশালায় উল্লিখিত প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে ফসল উৎপাদনের জন্য বোরো মৌসুমে বিনাধান ১০, বিনাধান ২৪ ও বিনাধান ২৫, আমন মৌসুমে বিনা ২৩, উঁচু জমির জন্য বিনা ১৭ ও জিংক ও আয়রন সমৃদ্ধ বিনা ২০, আউশ মৌসুমের জন্য বিনা ১৯, রবি মৌসুমের জন্য বিনা সরিষা ৪, বিনা সরিষা ৯ ও বিনা সরিষা ১১, বিনা খেসারী ১, বিনা মসুর ডাল ৮, বিনা চিনা বাদাম ৪ ও ৮, বিনা টমেটো ১০, বিনা হলুদ ১, বিনা লেবু ১ ইত্যাদি জাতের ফসল চাষের পরামর্শ দেওয়া হয়।

কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ।

তিনি বলেন, খুলনা অঞ্চল লবণাক্ততা প্রবণ। বিনা প্রতিনিয়ত গবেষণার মাধ্যমে এ প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে নানা জাত উদ্ভাবন করছে। এর মধ্য দিয়েই খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন ও পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নয়ন সম্ভব। এজন্য কৃষক ও সংশ্লিষ্ট অধিক্ষেত্রে কর্মরতদের সমন্বিত প্রচেষ্টা খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিনার পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. ইকরাম-উল-হক, প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মাহবুবুল আলম তরফদার, উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. আশিকুর রহমান ও বিনা সাতক্ষীরা উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।