ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

নাটোরে দেড় কোটি টাকা কৃষি প্রণোদনা পাচ্ছে ১৪ হাজার কৃষক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৭
নাটোরে দেড় কোটি টাকা কৃষি প্রণোদনা পাচ্ছে ১৪ হাজার কৃষক

নাটোর: নাটোরে রবি ও খরিপ-১ মৌসুমের ছয়টি শস্য উৎপাদনে এক কোটি ৬৭ লাখ টাকার কৃষি প্রণোদনা পাচ্ছে জেলার প্রায় ১৪ হাজার প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র পর্যায়ের কৃষক।

আগামী অক্টোবর মাস থেকে এ সহায়তা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হবে। এ অর্থে কৃষকরা বিনামূল্যে শস্য বীজ ও সার পাবেন।

 

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বাংলানিউজকে জানান, বিএডিসি’র কাছ থেকে বীজ প্রাপ্তি সাপেক্ষে অক্টোবরে বিটি বেগুনের বীজ, পর্যায়ক্রমে সরিষা, ভূট্টা ও গমের বীজ এবং এসব শস্য চাষাবাদে সহায়ক সার উপজেলা পর্যায়ে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

সুবিধাভোগী কৃষকদের তালিকা প্রণয়নে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এবং জমির মালিকানা থাকা স্থানীয় শ্রেণীভিত্তিক কৃষক বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।

এছাড়া বিনামূল্যে গুণগত মানের বীজ ও সার দেয় এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও নিবিড় পরিচর্যায় সমৃদ্ধ রবি এবং খরিপ-১ মৌসুম অর্জন সম্ভব হবে বলে উপ পরিচালক আশা প্রকাশ করেন।

এদিকে নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মোট সুবিধাভোগীর তালিকায় থাকা ১৩ হাজার ৯৭৪ জন প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকের মধ্যে সিংড়া উপজেলায় সর্বোচ্চ সাত হাজার ২০৫ জন, নলডাঙ্গায় এক হাজার ৮০৫ জন, গুরুদাসপুরে এক হাজার ৬০২ জন, নাটোর সদর উপজেলায় এক হাজার ২০৩ জন, বড়াইগ্রামে ৮০৩ জন, লালপুরে ৭৫৩ এবং বাগাতিপাড়া উপজেলায় ৬০৩ জন কৃষক রয়েছে।

প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সর্বাধিক দেড় হাজার একর জমিতে গম, এক হাজার একর করে সরিষা ও গ্রীস্মকালীন মুগ, ৮শ’ একরে ভূট্টা, ৩৫০ একরে গ্রীস্মকালীন তিল এবং আট একর জমিতে বিটি বেগুন চাষাবাদের জন্যে মোট ৭৩ লাখ  ৬৮ হাজার টাকা মূল্যের ১১৩.৮৫ টন বীজ, ৭৫ লাখ ৫৩ হাজার টাকা মূল্যের মোট ৩৮৯.২২ টন ডিএপি সার ও এমওপি সার দেয়া হবে। অবশিষ্ট টাকা পরিবহন ও আনুষঙ্গিক খাতে ব্যয় হিসেবে ধরা হয়েছে।

কৃষি বিভাগ আরো জানায়, সাধারণত ১৬ অক্টোবর থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময়কালকে রবি মৌসুম এবং ১৬ মার্চ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময়কালকে খরিপ-১ মৌসুম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

পাঁচ থেকে ৪৯ শতাংশ পর্যন্ত জমির মালিকানা থাকা কৃষকদের প্রান্তিক এবং ৫০ থেকে ২৪৭ শতাংশ পর্যন্ত জমির মালিকানা থাকা কৃষকদের ক্ষুদ্র শ্রেণীভূক্ত বিবেচনা করা হয়।

বড়াইগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসার ইকবাল আহমেদ ও নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আমিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ইউনিয়ন কৃষি প্রণোদনা কমিটি সুবিধাভোগী এসব কৃষকদের তালিকা প্রণয়নের পর উপজেলা কমিটি তালিকা চূড়ান্ত করেছেন।

কর্মসূচির আওতায় কৃষকরা এক বিঘা জমি চাষাবাদে প্রয়োজনীয় বীজ ও সার পাবেন।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৮ ঘণ্টা, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।