ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

গো-খাদ্য সংকট, বিপাকে খামারিরা 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
গো-খাদ্য সংকট, বিপাকে খামারিরা  গো-খাদ্য-ছবি-বাংলানিউজ

রংপুর: বদরগঞ্জের গরুর খামারিরা গো-খাদ্য সংকটের কারণে পড়েছেন চরম বিপাকে। বিগত বন্যায় জমির ফসল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এ সংকট আরও চরম আকার ধারণ করেছে। বন্যায় এ অঞ্চলের কৃষকদের ক্ষতির প্রভাব পড়েছে ডেইরি শিল্পে।

বন্যায় কৃষকদের জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বেড়েছে খড়ের দাম। যেখানে আগে প্রতি পোন (৮০টি) খড়ের দাম ছিল ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, সেখানে বর্তমানে প্রতি পোন খড়ের দাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।

এছাড়া চোপড়, ভুষি, খৈলের দামও আকাশছোঁয়া। এমতাবস্থায় বাড়িতে গরু পালনকারী কৃষক ও গরুর খামারিরা তাদের গরু কম মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

কথা হয় গরু বিক্রি করতে আসা উপজেলার রামনাথপুর ইউপির ঝাকুয়াপাড়া গ্রামের কৃষক মামুন মিয়ার (৪৫) সঙ্গে। তিনি জানান, অনেক শখ করে তিনটি গরু পালন করেছিলাম। কিন্তু গো-খাদ্যের এতটাই অভাব ও দাম চড়া যে অনেকটা বাধ্য হয়ে হাটে নিয়ে যাচ্ছি।

রামনাথপুর ইউপির খিয়ারপাড়া গ্রামের গরু খামারি তোজাম্মেল হক জানান, গরুর খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামার নিয়ে আমি চিন্তায় আছি। যে অনুপাতে গো-খাদ্যের দাম সে অনুযায়ী গরু বিক্রিতো করতে পারবো না। অনেকটা লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে কষ্ট করে হলেও খামার ব্যবসা ধরে আছি।  

তিনি আরও জানান, বিক্রির জন্য আমার খামারের গরুগুলো গত হাটে তুলেছিলাম। দাম তুলনামূলক কম হওয়াতে ফেরত নিয়ে এসেছি।  

গো-খাদ্য খুচরা ব্যবসায়ী শওকত হোসেন জানান, সব ধরনের গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, দাম আরও বাড়তে পারে। এতে আমাদের খুচরা বিক্রি অনেক কমে গেছে।  

বদরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ জানান, বিগত বন্যায় ধানের ক্ষতি হওয়ায় খড়ের দাম মাত্রাতিরিক্ত হিসেবে বেড়ে গেছে। এর পাশাপাশি অন্য গো খাদ্যের দামও কিছুটা বেড়েছে। এতে করে খামারিদের জন্য খামার পরিচালনা করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, ২৮ অক্টোবর, ২০১৭
আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।