ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

খাদ্য নিরাপত্তায় সাদা ভুট্টা খাওয়ার পরামর্শ বিজ্ঞানীদের

শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৭
খাদ্য নিরাপত্তায় সাদা ভুট্টা খাওয়ার পরামর্শ বিজ্ঞানীদের

ঢাকা: টেকসই খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বিবেচনায় ভাতের সম্পূরক হিসেবে সাদা ভুট্টাজাত খাবার গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। তারা বলেছেন, চাউল ও গমের পাশাপাশি সাদা ভুট্টার ব্যবহার ব্যাপক হারে চালু হলে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা জোরদার হবে। ভাতের উপর চাপ কমবে। গম আমদানির পরিমাণ হ্রাস পাবে।

রোববার (০৫ নভেম্বর) কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, অ্যাগ্রোরিয়ান রিসার্চ ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে মানুষের খাদ্য হিসেবে সাদা ভুট্টা প্রবর্তন’ শীর্ষক কর্মশালায় এ পরামর্শ দেন বিজ্ঞানীরা।
 
কর্মশালায় সাদা ভুট্টা থেকে পরোটা, নান রুটি, পেঁয়াজু, সবজি পাকোড়া, চিকেন রোল, শর্মা, মিষ্টি তেল পিঠা, কেক, পাস্তা, জিলাপি, কর্নস্যুপসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রদর্শন করা হয় এবং কিছু কিছু খাবার তৈরি করার পদ্ধতিও কর্মশালায় দেখানো হয়।


 
শেরে-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক ভবনের সেমিনার রুমে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালা সকাল সাড়ে দশটায় উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দার আলী, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল হক বেগ এবং কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়ায়েস কবির।
 
কর্মশালায় জানানো হয়, ক্রমবর্ধমাণ জনসংখ্যার কারণে ত্রিশ দশকের পর খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে বিধায় বাংলাদেশে সাদা ভুট্টার ব্যবহার প্রচলন করা প্রয়োজন। ধান ও গমের তুলনায় ভুট্টার উৎপাদনশীলতা বেশি হওয়ায় সাদা ভুট্টা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলেও কর্মশালায় আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা।  
 
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শেরে-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও প্রকল্পের সমন্বয়ক প্রফেসর ড. মো. জাফর উল্লাহ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শেকৃবি বহিরাঙ্গণের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মোফাজ্জল হোসাইন।

এতে সভাপতিত্ব করেন কৃষিতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. ফজলুল করিম। কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী, কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ ও খাদ্য দ্রব্য তৈরি সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং ৬০ জন গৃহিণী কর্মশালায় অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৭
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।