ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

ছাদবাগান তাপমাত্রা কমায়!

শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
ছাদবাগান তাপমাত্রা কমায়! ছাদবাগান তাপমাত্রা কমায়!

শেকৃবি: ঢাকা শহরের অধিক দালান  কাঠামো, সবুজায়ন হ্রাস ও নানা ধরনের ক্ষতিকর গ্যাস নিঃসরণ ক্রমেই বাড়ছে। ফলে পরিবেশের তাপমাত্রা ও দূষণও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে।

ঢাকা শহরে গাছ লাগানোর জায়গা কম, তাই শহরের বাড়ির ছাদে গাছ লাগানোর উপযুক্ত জায়গা। ছাদে পর্যাপ্ত গাছ লাগিয়ে ছাদের পরিবেশের তাপমাত্রা প্রায় ৩ ডিগ্রি কমানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।

বুধবার (২১ র্মাচ) বিকেল ৪টায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ‘ছাদবাগান: পরিবেশ সংরক্ষণ ও ফসল উৎপাদন’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রিকালচারাল বোটানি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহাবুব ইসলাম।

তিনি বলেন, গত বছর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের গবেষণায় দেখা যায়, ছাদবাগান ছাড়া ছাদের তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ০৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ছাদে বায়ুর তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৯৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে ছাদবাগানে ছাদের তাপমাত্রা ৩৩ দশমিক ৬৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ছাদে বায়ুর তাপমাত্রা ৩২ দশমিক ০৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
‘ছাদবাগান: পরিবেশ সংরক্ষণ ও ফসল উৎপাদন’ শীর্ষক সেমিনার
এছাড়া, বাড়ির ছাদে বাগান করলে প্রায় ৭০ পিপিএম কার্বন-ডাই-অক্সাইড আশ-পাশের পরিবেশ থেকে কম থাকে বলেও জানান তিনি।

সেমিনারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী ড. তারিক বিন ইউসুফ বলেন, প্রয়াত মেয়রের স্বপ্ন ছিলো সবুজ ঢাকা গড়ার। শহরে ছাদবাগান তৈরির মাধ্যমে তিনি ঢাকার চেহারা কিছুটা পাল্টে দিয়েছিলেন। তিনি না থাকায় আমরা আগের মতো সার্পোট পাচ্ছি না।

অনুষ্ঠানে বক্তারা গবেষণার ফলাফল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও ডিএনসিসি’র মাধ্যমে ঢাকার বাড়ির মালিকদের কাছে প্রচার করার আহ্বান জানান।

শেকৃবি রির্সাচ সিস্টেমের (সাউরেস) পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. সেকেন্দার আলী, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল হক বেগ প্রমুখ।

সেমিনার শেষে কৃষি অনুষদের ছাদে দেশের প্রথম ছাদবাগান ভিত্তিক ইকো সেন্টার উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ। অ্যাপস ভিত্তিক ছাদবাগান বিষয়ক তথ্য ও পরামর্শ এ সেন্টার থেকে দেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রিকালচারাল বোটানি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ও ইসলামিক রিলিফ, বাংলাদেশে অর্থায়নে ইকো সেন্টারটি নির্মাণ করা হয়েছে। ইকো সেন্টারটিতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি রয়েছে। ইতিমধ্যে ইকো সেন্টারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে বলে জানা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।