ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

শ্রাবণের বৃষ্টিতে মুখরিত ফসলের মাঠ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৮
শ্রাবণের বৃষ্টিতে মুখরিত ফসলের মাঠ আমন ধানের চাষাবাদে ব্যস্ত কৃষকেরা। ছবি: বাংলানিউজ

নওগাঁ: আষাঢ়ে তেমন বৃষ্টি হয়নি, ছিলো তীব্র খরা। শ্রাবণের ভরা বর্ষায় তীব্র খরার দাপটে আমন আবাদ পড়েছিলো হুমকির মুখে। আমন রোপণের ব্যস্ত সময়ে বৃষ্টির অপেক্ষায় অলস সময় কাটানো কৃষকের দুশ্চিন্তায় ছিলো।

অবশেষে প্রতিক্ষার অবসান হলো শ্রাবণের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে। শ্রাবণ ধারায় স্বস্তি এনে দিয়েছে জনজীবনে।

লাঙ্গল নিয়ে উত্তরের মাঠগুলোতে চাষাবাদে মাঠে নেমেছে কৃষকরা।

দীর্ঘ অনাবৃষ্টির পর সোমবার (২৩ জুলাই) থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। মঙ্গলবার সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি পড়েছে। বর্ষার আগমনে বরেন্দ্র অঞ্চলের জেলা নওগাঁর পথঘাট ও ফসলের মাঠগুলো যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। স্বস্তি নেমে এসেছে প্রকৃতি আর মানুষের মাঝেও।

বুধবার (২৫ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফসলের মাঠে বৃষ্টির পানি জমেছে। তাই কৃষকরা বৃষ্টি নির্ভর আমন ধানের চাষাবাদে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ধানের চারা রোপণের জন্য লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষাবাদের উপযোগী করে তুলছেন।

নওগাঁ সদর উপজেলার বর্ষাইল গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, পানির জন্য সমস্যায় ছিলেন। পানির অভাবে ফসলি জমি শুকিয়ে কাঠ হয়ে গিয়ে ছিলো। গত দু’দিনের বৃষ্টিতে জমিতে চাষাবাদের আশা ফিরে পেয়েছেন।  

মাঠে রোপা-আমন ধান চাষের জন্য কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে বলেও জানান তিনি।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী এবার নওগাঁর ১১টি উপজেলায় প্রায় আড়াই লাখ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আষাঢ়ের প্রথম থেকেই চাষাবাদ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির অভাবে কৃষকরা সময় মতো সেই কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। অল্প কিছু সংখ্যক কৃষক নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভের পানি তুলে চাষ শুরু করেছিলো। কিন্তু অধিকাংশ কৃষকই বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।