ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

কৃষি শুমারিতে ঠাঁই পেলো মৎস্য ও লবণ চাষ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
কৃষি শুমারিতে ঠাঁই পেলো মৎস্য ও লবণ চাষ কৃষি শুমারির কর্মশালা

ঢাকা: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মৎস্য ও লবণ চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তারপরও এ দুটি খাতের ঠাঁই হয়নি বিগত কৃষি শুমারিতে। এ দুই খাতের গুরুত্ব অনুধাবন করে কৃষি শুমারি-২০১৮ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করেছে সরকার। কৃষি শুমারিতে ৬০ প্রকারের মাছের কোড নম্বর দেওয়া হয়েছে। লবণ চাষের জমির পরিমাণসহ নানা তথ্য থাকবে কৃষি শুমারিতে।

প্রকল্প পরিচালক জাফর আহাম্মদ খান বাংলানিউজকে বলেন, কৃষি ও লবণ চাষ আমাদের দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০০৮ সালের চেয়ে ২০১৮ সালের কৃষি শুমারির কলেবর অনেক বেড়েছে।

যত দিন যাচ্ছে কৃষিতে নতুনত্ব বাড়ছে। নতুন হাইব্রিড ধানও কৃষি শুমারিতে অন্তর্ভুক্ত হবে।

প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খানাসমূহের তালিকা তৈরি করে তালিকা অনুসারে নির্বাচিত খানাসমূহে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে বলেও জানান তিনি।

২০০৮ সালের কৃষি শুমারিতে সাধারণত ১২৬টি স্থায়ী ও অস্থায়ী ফসলের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিলো। বর্তমানে সরকারের কৃষিবান্ধব নানা প্রকল্প ও কর্মসূচি গ্রহণের ফলে ফসলের বৈচিত্র্য ও পরিমাণ বেড়েছে। এজন্য চলতি অর্থবছরে কৃষি শুমারিতে প্রায় ১৭০টি ফসলের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এর আগের কৃষি শুমারিতে মৎস্য খাতের পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করা হয়নি। এ বছর প্রথমবারের মতো শুমারিতে মৎস্য খাতের পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

তাছাড়া খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যও শুমারির মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে যা সরকারের পরিকল্পনা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আগারগাঁওয়ের বিবিএস ভবনের অডিটরিয়ামে বিবিএস এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে কৃষি শুমারির এক কর্মশালায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বিকাশ কিশোর দাস, বিবিএস মহাপরিচালক ড. কৃষ্ণা গায়েন উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী খানা ভিত্তিক নমুনা শুমারি ২০১৮ অনুষ্ঠিত হবে। জোনাল অপারেশনে দেশের সকল সাধারণ খানায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

বিবিএস সচিব বলেন, বর্তমান সরকার দেশে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সরকারের অঙ্গীকার ‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় বিবিএস নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, এনজিও, গবেষণা সংস্থা, কৃষি বিষয়ক সংস্থাসমূহ প্রভৃতির পরিকল্পনা প্রণয়নের ও নীতি নির্ধারণের জন্য হালনাগাদ কৃষি বিষয়ক তথ্য-উপাত্ত প্রাপ্তির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।  

এ সংক্রান্ত পরিসংখ্যানের প্রস্তুত করার জন্য হালনাগাদ কৃষি বিষয়ক কাঠামো ও তথ্য-উপাত্ত প্রস্তুতের পদক্ষেপ হিসেবে বিবিএস ‘কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি-২০১৮’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

বিবিএসের মহাপরিচালক ড. কৃষ্ণা গায়েন বলেন, কৃষি অবকাঠামোর বর্তমান চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি সরকার কৃষি ক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ‘কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি ২০১৮’ পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
এমআইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।