ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

‘কৃষকের পাশে না থাকলে উৎপাদন বাড়লো কিভাবে?’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৪ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৯
‘কৃষকের পাশে না থাকলে উৎপাদন বাড়লো কিভাবে?’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের গাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা: সরকার কৃষি উপকরণের দাম কয়েক গুণ কমিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, কৃষকের পাশে সরকার সবসময় আছে। কৃষকের পাশে সরকার না থাকলে কিভাবে খাদ্য উৎপাদন বাড়লো?

সোমবার (২০ মে) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে থ্রিডি অডিটোরিয়ামে উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তর র্শীষক প্রশিক্ষণ প্রকল্পের (৩য় পর্যায়ে) আওতায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের গাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  

কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মীর নুরুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) সনৎ কুমার সাহা।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক তাজুল ইসলাম পাটওয়ারী।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে শিল্পায়নের ফলে কৃষি শ্রমিক দিনে দিনে কমে যাচ্ছে, এ জন্য কৃষি যান্ত্রিকীকরণ আপরিহার্য। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে সরকার ৫০ থেকে ৭০ ভাগ পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়ে থাকে। কৃষি ও কৃষকের প্রয়োজনে যা যা করা দরকার সব করা হবে। সরকার এ ব্যাপারে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে।

ড. রাজ্জাক বলেন, কৃষিতে প্রণোদনা বাবদ ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছিলো। এর মধ্যে ৬ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে, বাকি ৩ হাজার কোটি টাকা কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ব্যবহৃত হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজ আমরা খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশ। এখন আমরা পুষ্টির দিকে নজর দিয়েছি।

ধানের দামের বিষয় উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে।  দ্রুতই এর সমাধান করা হবে। কৃষিকে আধুনিকায়ন, যান্ত্রিকীকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণ করে কৃষির সকল সমস্যা দূর করা হবে।

অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ৪৪টি উপজেলার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের হাতে গাড়ির চাবি তুলে দেন। পর্যায়ক্রমে সকল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের গাড়ি প্রদান করা হবে বলে মন্ত্রী আশ্বস্ত করেন।

২০১৮-২০২২  মেয়াদী প্রকল্পটি ৩শ’ ১৫ কোটি টাকার। এর মাধ্যমে ৪৮টি জেলার ১০৬ উপজেলার ১০৬ কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ২০ ইউনিয়নে কৃষক সেবা কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পূর্ণ হলে এর মাধ্যমে কৃষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, ফসলের উৎপাদশীলতা বৃদ্ধি পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৯ 
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।