ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

ফেনীতে সরিষা-চীনা বাদাম চাষে ১৯ লাখ টাকা প্রণোদনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৯
ফেনীতে সরিষা-চীনা বাদাম চাষে ১৯ লাখ টাকা প্রণোদনা

ফেনী: ফেনীতে প্রান্তিক কৃষকদের সরিষা ও চীনা বাদাম চাষে উৎসাহিত করতে ১৯ লাখ ১৯ হাজার টাকা কৃষি প্রণোদনা দিচ্ছে ফেনী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে এ প্রণোদনা কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জয়েন উদ্দিন জানান, রবি মৌসুমকে সামনে রেখে জেলার ২ হাজার সরিষা ও ২০০ বাদাম চাষিকে ১৯ লাখ ১৯ হাজার টাকা প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।  

তিনি আরও জানান, সরিষা চাষ করার জন্য জন প্রতি কৃষককে ৮০২ টাকা মূল্যের উচ্চ ফলনশীল ১ কেজি বীজ ও ২০ কেজি ডিএমপি, ১০ কেজি এমওপি সার এবং বাদাম চাষের জন্য প্রতিজন কৃষককে ১ হাজার ৫৭৫ টাকা মূল্যের ১০ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএমপি, ৫ কেজি এমওপি সার প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হচ্ছে।

জয়েন উদ্দিন জানান, সরিষা চাষে ফেনী সদরে ৬০০, ছাগলনাইয়ায় ২৫০, ফুলগাজী ২০০ জন, পরশুরামে ২৫০ জন, দাগনভূঞায় ২০০ জন ও সোনাগাজীতে ৫০০ জন কৃষক এ প্রণোদনা পাবেন। বাদাম চাষে ফেনী সদরে ৫০ জন, ছাগলনাইয়ায় ২০ জন, ফুলগাজীতে ১০ জন, পরশুরামে ১০ জন, দাগনভূঞায় ৩০ জন ও সোনাগাজীতে ৮০ জন কৃষক এ প্রণোদনা পাবেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, আমন ধানের পরে সরিষা ও বাদাম চাষের উপযুক্ত সময়। ইতোমধ্যে জেলার ৫০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ২ হাজার ২০০ বিঘা জমিতে সরিষা ও বাদাম চাষ করা হয়। তবে ফেনীতে বাদামের চেয়ে সরিষার আবাদ বেশি হয়। গত বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সরিষার আবাদ বেশি উৎপাদিত হয়েছে। এ বছরও কৃষকদের গত বছরের চেয়ে বেশি সরিষা আবাদ করার জন্য প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
এসএইচডি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।