ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

মাশরুমের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে উদ্যোগ নেওয়া হবে: মন্ত্রী 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২০
মাশরুমের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে উদ্যোগ নেওয়া হবে: মন্ত্রী  অনলাইনে মাশরুম চাষি ও উদ্যোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক

ঢাকা: মাশরুম চাষের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে শিগগিরই উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। মাশরুমের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে গবেষণা বাড়াতে হবে বলেও জানান তিনি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, গবেষণা করে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও সিজনভিত্তিক নতুন জাতের মাশরুম উদ্ভাবন করতে হবে এবং চাষ সম্প্রসারণ করতে হবে।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) অনলাইনে মাশরুম চাষি ও উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ‘মাশরুম চাষের সমস্যা, সম্ভাবনা ও সমাধান’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন মন্ত্রী।

ড. রাজ্জাক বলেন, দেশে অর্থকরী ফসল মাশরুম চাষের সম্ভাবনা অনেক বেশি। এই সম্ভাবনাকে সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে হবে। দেশের বেশির ভাগ মানুষ হচ্ছে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এবং ভূমিহীন। তাদের মাশরুম চাষে সম্পৃক্ত করতে পারলে কর্মসংস্থান ও আয়ের পথ তৈরি হবে। মাশরুম চাষ সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করতে পারলে এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে। অন্যদিকে, দেশে লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার যুবক রয়েছে যারা চাকরির জন্য চেষ্টা করছে। তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা করতে পারলে মাশরুমের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার তৈরি হবে।

তিনি বলেন, মাশরুম বিষয়ে অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞদের আমরা কাজে লাগাব। মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটকে শক্তিশালী করব। শিগগিরই প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে আমরা দেশের হর্টিকালচার সেন্টার, মাশরুম সেন্টার প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করব যাতে করে তারা নতুন জাত উদ্ভাবন করতে পারে। কর্মকর্তা, চাষি এবং উদ্যোক্তাদের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

সভায় মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক নিরদ চন্দ্র সরকার ‘বাংলাদেশে মাশরুম চাষের প্রয়োজনীয়তা, সুযোগ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। প্রবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মাশরুম একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ফসল। একদিকে মাশরুম একটি পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও ওষুধি গুণসম্পন্ন খাবার, অন্যদিকে তা চাষ করার জন্য কোন আবাদি জমির প্রয়োজন হয় না। ঘনবসতিপূর্ণ ও দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যার বাংলাদেশে খাবারের চাহিদা বাড়ছে অথচ খাবার যোগান দেয়ার জমি প্রতিবছর কমছে। এই অবস্থায়, অনুৎপাদনশীল ফেলনা জমির স্বল্প পরিমাণ ব্যবহার করেই বিপুল পরিমাণ মাশরুম উৎপাদন করা যায়।

মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের তথ্যানুসারে, মাশরুম উৎপাদন দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে। দেশে বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন মাশরুম প্রতি বছর উৎপাদন হচ্ছে যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। প্রায় দেড় লাখ মানুষ মাশরুম ও মাশরুমজাত পণ্য উৎপাদন ও বিপণন সংশ্লিষ্ট কাজে যুক্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ প্রায় সব দেশই মাশরুম আমদানি করে থাকে। বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাশরুম রপ্তানির অনেক সুযোগ রয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম এবং অতিরিক্তি সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল মুঈদ। মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সারাদেশ থেকে মাশরুম চাষি ও উদ্যোক্তাদের প্রতিনিধিরা অনলাইনে মতবিনিময় সভায় সংযুক্ত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২০ 
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।