সিলেট: সিলেটের হাওর-বাওরজুড়ে এখন সোনালি ফসলের আভা। বিগত বছরগুলোতে বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, এবার সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় এবার হাওর-নন হাওরে ৬ লাখ ৯১ হাজার ৯২০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৮ হাজার ১৭৭ হেক্টর বেশি। আগের বছর ৬ লাখ ৮৩ হাজার ৭৪৩ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। তবে, এইবার হাওরে শ্রমিক সংকট নেই। শ্রমিকদের পাশাপাশি কৃষি যন্ত্র দিয়েও ধান কাটা চলছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কিছু দিনের মধ্যে ধান সম্পূর্ণরূপে কেটে ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা।
.jpg)
বিভাগের মধ্যে সিলেট জেলার হাওরে ৮১ হাজার ৯শ হেক্টরে উৎপাদিত বোরোর ৬৫ শতাংশ ধান কাটা সম্পন্ন হয়ে গেছে। জেলায় নন হাওরে ফসলি জমির ৪৬ হাজার ৮১০ হেক্টরের ৪০ শতাংশের, মৌলভীবাজারের ৫৬ হাজার ৩৪৫ হেক্টর হাওরের ৬০ শতাংশ, নন হাওরের ২৮ হাজার ৫১৫ হেক্টরে ১৫ শতাংশ, হবিগঞ্জের এক লাখ ২২ হাজার ১৩০ হেক্টরের প্রায় ৬০ শতাংশ, নন হাওরের ৭৫ হাজার ২১৫ হেক্টরের প্রায় ১৫ শতাংশ এবং সুনামগঞ্জের ২ লাখ ২৩ হাজার ৩৩০ হেক্টরের প্রায় ৬৭ শতাংশ ও নন হাওরের ৫৭ হাজার ৬৬৫ হেক্টর জমির প্রায় ২৫ শতাংশ ধান কাটা হয়ে গেছে।

কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, কৃষিতে মূলত ৩টি মৌসুম ধরা হয়। এর মধ্যে রবি মৌসুম, খরিপ-১ ও ২। রবি মৌসুম ১৬ অক্টোবর থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত পাঁচ মাস। খরিপ-১ ১৬ মার্চ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ৩ মাস এবং খরিপ-২ ১৬ জুন থেকে ১৫ অক্টোবর ৪ মাস। এর মধ্যে রবি মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ফলন হয়। দেশে অন্তত ১শ জাতের ধান থাকলেও তিন মৌসুমে শতকরা ৭০ শতাংশ ব্রি-২৯৮ ও ২৯ জাতের ধানের ফলন হয়। অন্যান্য জাতের ধানক্ষেত হয় ৩০ শতাংশ।

এবার ধান কাটার শ্রমিক সংকট নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, শ্রমিকদের পাশাপাশি ধান কাটার সহায়ক হিসেবে ১১৯টি কম্বাইন হার্ভেস্টার ও ২১৪টি রিপার ধান কাটার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে, এমনটি আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২১
এনইউ/এএটি