ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

শাক-সবজি-ফল রপ্তানি আরও বাড়াতে চায় সরকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৭ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২১
শাক-সবজি-ফল রপ্তানি আরও বাড়াতে চায় সরকার

ঢাকা: কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, শাক-সবজি ও ফলমূল রপ্তানি করার অপার সুযোগ আমাদের রয়েছে। বিশেষ করে ইউরোপীয় দেশগুলোতে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সচিবালয়ে শাক-সবজি ও ফল রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে করণীয় নিয়ে পর্যালোচনা সভার শুরুতে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মাঠ থেকে বিমানে ওঠা পর্যন্ত প্রত্যেক পয়েন্টে কৃষিপণ্যকে মনিটর করতে হবে। যাতে কোনো রকম রোগজীবাণু, শরীরের জন্য ক্ষতিকারক কোনো ধাতু আছে কিনা এসব পরীক্ষা করে দেখতে হবে। জয়দেবপুরে একটি ল্যাব করেছি। প্রধানমন্ত্রী পূর্বাচলে দুই একর জমি দিয়েছেন, সেখানে অ্যাগ্রো প্রসেসিং ল্যাবরেটরি হবে।

গত অর্থবছর কৃষিখাতে ৮৫০ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এরমধ্যে ১৬৪ মিলিয়ন ডলারের শাকসবজি রপ্তানি হয়েছে। এবার এটা অনেক বেশি হবে। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ১৮৮ মিলিয়ন ডলারের শাকসবজি রপ্তানি হয়েছে। শাকসবজি রপ্তানি আরও বাড়াতে চাই। সব রপ্তানিকারকদের ডেকেছি। কী সুযোগ সুবিধা তাদের দিতে পারি, কী ধরনের বাধা বিপত্তি আছে সেসব দূর করে দিতে চাই। একটা ডেস্ক করছি। সেখান থেকে আমরা তাদের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় যাব। ব্যাংকে যাব। কার্গো একটা বিরাট সমস্যা। বিদেশি এয়ারলাইন্সের বাধ্যবাধকতা ছিল ২০ শতাংশ বাংলাদেশের কন্টেইনার, শাবসবজি নিতে হবে, সেটা এখন তারা নেয় না। এটাকে আবার আমরা আরোপ করতে চাই। বাংলাদেশে ফ্লাইট চালাতে হলে ২০ শতাংশ কৃষিপণ্য কার্গোতে বহন করতে হবে। ব্যাংক ঋণ দিতে চায় না কৃষিতে, সেক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা করব।

বাংলাদেশে জাপানের অত্যন্ত মূল্যবান আম সূর্যডিম উৎপাদন হচ্ছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, জাপানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আম খেয়ে প্রশংসা করেছেন। তারা একটি আম উৎপাদন করেন যার নাম সুর্যডিম, অর্থাৎ এগ অব সান। তাদের দেশীয় নাম মিয়াজাকি। একটা আমের দাম ছয় হাজার টাকা। তারা ব্রিটিশ রানী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের এই আম উপহার দেয়। খুবই নামকরা।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে এই আম ‘রেড ম্যাঙ্গো’ নামে পরিচিত। সেই জাতও আমরা বাংলাদেশে নিয়ে আসছি। প্রায় ২০টি সেন্টারে গাছ লাগানো হয়েছে, উৎপাদন হয়েছে। গত বুধবার আমি চারটি আম আসাদ গেট থেকে পেরে প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য দিয়েছি। কারণ তিনি সর্বোচ্চ, তার দেখা দরকার বাংলাদেশের সম্ভাবনাগুলো কোথায়।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কিছু কিছু জায়গায় আমাদের আম যাওয়া শুরু হয়েছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জাপানিদের সহযোগিতায় একটি ট্রিটমেন্ট প্রোজেক্ট এনেছেন। আমরাও একটি প্রোজেক্ট দিয়েছি। এটা করলে অনেক বেশি দামে আম রপ্তানি করা যাবে।

অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয় ও অধীন বিভিন্ন সংস্থা প্রধান এবং শাকসবজি ও ফল রপ্তানিকারকরা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময় : ১৮০০ ঘণ্টা, মে ২৭,২০২১
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।