ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

‘বিকল্প ফসল চাষের মাধ্যমে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২১
‘বিকল্প ফসল চাষের মাধ্যমে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব’ কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুল রাজ্জাক

ঢাকা: তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে বিকল্প ফসলের চাষ কৃষকের কাছে জনপ্রিয় করতে হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুল রাজ্জাক।

সোমবার (১২ জুলাই) বিকেলে সরকারি বাসভবন থেকে যুক্ত হয়ে ‘তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্য উৎপাদনে করণীয়’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

 

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি), বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) ও বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট (বাটা) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে এখন ফসলের অনেক উন্নত জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি রয়েছে। এর মধ্যে ভুট্টা চাষের সম্ভাবনা অনেক। অনেক অপ্রচলিত অর্থকারী উচ্চমূল্যের ফসল ও ফল চাষেরও সুযোগ এখন তৈরি হয়েছে। তামাকের পরিবর্তে এগুলোর চাষ করে তামাকের চাষ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশে এখন তামাক চাষ করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। তামাক চাষের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে কোনো গবেষণা পরিচালনা করা হয় না। মন্ত্রণালয় থেকে ভর্তুকি দেওয়া ও কোনো রকম সহযোগিতাও দেওয়া হয় না।  

ওয়েবিনারে বক্তারা বলেন, দেশের কৃষি জমির একটি বড় অংশে তামাক চাষ হয়। এসব জমিতে খাদ্যশস্য চাষ করা হলে তা দেশের খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও উদ্বৃত্ত খাদ্য রপ্তানির মাধ্যমে দেশের রপ্তানি আয় বাড়াতে সহায়তা করবে।

তারা আরও বলেন, তামাক চাষ কৃষি জমির উর্বরতা নষ্ট এবং কৃষক ও কৃষকের পরিবারের স্বাস্থ্যহানিসহ আশপাশের পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ। দেশের আবাদি জমি রক্ষা, মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, পরিবেশ দূষণ রোধ ও খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ ও তামাকের বিকল্প ফসল উৎপাদনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে ওয়েবিনারে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।  

ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন টিসিআরসির প্রেসিডেন্ট ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন- জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী ও অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার, পিকেএসএফের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. গণেশ চন্দ্র সাহা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দ্য ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক অ্যাভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম।

এছাড়া আন্তর্জাতিক সংস্থা ভাইটাল স্ট্রাটেজিসের হেডস অব প্রোগ্রামস মো. শফিকুল ইসলাম, সিটিএফকের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ, উবিনীগের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার আলোচক হিসেবে ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করেন।

বাবাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২১
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।