ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

শেখ হাসিনা কৃষক দরদি: কৃষিমন্ত্রী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২২
শেখ হাসিনা কৃষক দরদি: কৃষিমন্ত্রী

টাঙ্গাইল: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুল রাজ্জাক এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষক দরদি। কৃষির প্রতি তাঁর অগাধ ভালোবাসা রয়েছে।

প্রণোদনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের মেশিন দেয়ার কারণে তারা হাওরে ধান কাটতে পারছেন। আর কোনো বিপর্যয় বা বৃষ্টি না হলে আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে মোটামুটি ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা। ১৩ লাখ টন যদি ধান তুলতে না পারা যায়, তাহলে সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলবে না। এতে খাদ্যের কোনো সংকট হবে না।  

শনিবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের দোয়া ও ইফতার মাহফিলে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বোরো মৌসুমে আমাদের সর্বোচ্চ ধান প্রায় দুই কোটি টন উৎপাদন হয়। আগে আমন প্রধান ফসল থাকলেও এখন আমন কমে গিয়ে ১ লাখ ৫৮ লাখের মতো উৎপাদন হয়। সেচসহ চাষাবাদের বিভিন্ন সুবিধা পাওয়ায় আমাদের বোরো উৎপাদন অনেক বেড়ে গেছে। হাওর এলাকায় ১২-১৩ লাখ টন ধান হয়। আগাম বন্যায় বাঁধ ভেঙে হাওরের সাড়ে সাত হাজার হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ইঞ্জিনিয়ার ও কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা খুবই তৎপর ছিল। এছাড়াও প্রশাসন অনেক কাজ করেছে। বাঁধগুলো এখন রক্ষা পেয়েছে। ধান কাটার জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নিয়েছি।

তিনি বলেন, কৃষি সব সময় প্রকৃতি নির্ভর। আমরা নতুন জাত দিয়েছি। ভালো উৎপাদন আশা করছি। ইনশাল্লাহ খাদ্য সংকট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নেত্রকোনায় ৮৬ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। সুনামগঞ্জে সবচেয়ে হাওরে ১ লাখ ৫২ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। সেখানে আজ পর্যন্ত ৭১ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। গড়ে প্রায় ৫০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। সুনামগঞ্জে ৫৭৭টি ধান কাটার হারভেস্টার মেশিন কাজ করছে। এটি সরকারের বড় অবদান।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি সব সময় হুঁশিয়ারি দেয়। তারা হরতাল করবে, অবরোধ করবে। কিন্তু বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। জনগণ আমাদের পাশে রয়েছে। অতীতেও হরতালের নামে তারা রাস্তা কেটে গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে সফল হতে পারেনি। আগামী দিনেও তারা সফল হতে পারবে না।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুকের সভাপতিত্বে মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) এমপি, আতাউর রহমান খান এমপি, ছোট মনির এমপি, আহসানুল ইসলাম খান এমপি, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আশরাফউজ্জামান স্মৃতি, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী প্রমুখ।
  
এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সম্পাদকসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা অংশ নেয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।