ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

পিডিবির প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ইউএনও'র স্বাক্ষর জালের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৭ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২২
পিডিবির প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ইউএনও'র স্বাক্ষর জালের অভিযোগ

জামালপুর: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুবকর তালুকদারের বিরুদ্ধে ইউএনও ও বিএডিসি কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ উঠেছে।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে সরিষাবাড়ী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাউসি উত্তর পাড়া গ্রামের সমেষ শেখের ছেলে রফিকুল ইসলাম একটি অগভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীর দ্বারস্থ হন।

পরে গ্রাহককে তিনি একটি আবেদন দিতে বলেন।

বিধি মোতাবেক উপজেলা সেচ কমিটির সরেজমিন পরিদর্শন ও প্রতিবেদন সাপেক্ষে অনুমোদন করে পিডিবি গ্রাহককে সংযোগ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি।

পিডিবির সেচ সংযোগ পেতে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সদস্য সচিব বিএডিসির উপ-সহকারী প্রকৌশলী স্বাক্ষরে সংযোগ দেওয়া হয়। তবে পিডিবিতে আবেদনকারী রফিকুল ইসলামকে সেচ সংযোগ দেওয়ার বিষয়টি সরিষাবাড়ী সেচ কমিটিও জানে না।  

নির্বাহী প্রকৌশলী আবুবকর তালুকদার ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে সেচ সংযোগের অনুমোদন দেন।

অভিযোগ রয়েছে, গ্রাহকের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে  (ব্যাক ডেইট) সংযোগ দেন। সংযোগ পত্রে নির্বাহী প্রকৌশলী আবুবকর তালুকদার, ইউএনও উপমা ফারিসা ও বিএডিসি কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাকসুমুল হকের স্বাক্ষর জাল করেন।

এদিকে ওই গ্রাহকের সংযোগটি ভিন্ন এক ব্যক্তির (পার্শ্ববর্তী মাদারগঞ্জ উপজেলার হাটবাড়ী গ্রামের জাফর আলী মণ্ডলের ছেলে সবুর আলী) নামে ছিল বলে জানা গেছে। তিনি এক বছর আগে প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ করে সংযোগ নিয়েছিলেন। ওই সংযোগটিই উৎকোচের বিনিময়ে নির্বাহী প্রকৌশলী পুনরায় রফিকুল ইসলামের নামে সংযোগ দেন।  

এ বিষয়ে সবুর আলী বলেন, তারা গত বছর পিডিবির ক্ষুদ্র সেচ সংযোগটি নেন। তবে বোরো ও আমন মৌসুমে অতিরিক্ত বিল আসায় তিনি সংযোগটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিতে চান। তিনি পিডিবির সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে পল্লী বিদ্যুৎ থেকে নতুন সংযোগ নেন। তার পিডিবির সংযোগটি এখনও চালু থাকার বিষয়ে তিনি জানেন না।

এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, এ কাগজগুলো অফিস থেকে দেওয়া হয়েছে। তবে এ কাগজগুলো কার নামে, সেটা আমার জানা নেই।  

উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিএডিসি) মাকসুমুল হক বলেন, চলতি বছরে ২ ও ৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলা সেচ কমিটির দু’টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় যথাক্রমে ১০২টি এবং ৬৪টি অগভীর নলকূপ স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু ওই কমিটির সভায় এ রফিকুল ইসলামের নামে কোনো ধরনের সেচ চালুর অনুমতি দেওয়া হয়নি। এমনকি তিনি কীভাবে সংযোগ পেলেন, সেটাও আমাদের জানা নেই।

এদিকে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও ইউএনও উপমা ফারিসা বলেন, রফিকুল ইসলামের অনুমোদনের কাগজে থাকা ইউএনওর স্বাক্ষরটি আমার নয়। এটা নকল স্বাক্ষর। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিএডিসি'র অফিসারের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযোগ অস্বীকার করে সরিষাবাড়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ উপকেন্দ্রের (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলী আবুবকর তালুকদার বলেন, আমার কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।