নিজাঘাত
___________________________________
অগণন তীরবিদ্ধ হোসেনি ঘোড়া দুলদুল
দুই টাকার ক্যালেন্ডার থিকা
আধেক ঘোড়া অর্ধেক রূপবতী নারী হয়া
আমার বাপের বিলুপ্ত দোকান হতে
খোড়ায়া খোড়ায়া আসে, বোরাক নাম তার
উহার মুখ দেখি রূপ মাখি
ঘোড়াটুকু দেখি না
মাল্টিহ্যান্ডি দূর্গারে ডাকি অসুর হয়া—
হায়! দুলদুল-বোরাক, ওহে দূর্গামণি
তোমাগো ছলে শর তোলা হয়নি ব্যথিতের
আম্মা আমার এই স্বপ্নের কেন্দ্রীয় চরিত্রের
নাম দিতে পারেন ‘নিজাঘাত’!
চতুর্থ মৃত্যুর পূর্বাপর
___________________________________
বউ বাজারে এসে যে লোকটা কিছুতেই মনে করতে পারে না বউয়ের মুখ, তার পাকা চুলে
শাদা বকের বেদনা খুঁজে পাই, তার চাহনিতে পিতৃত্ব হারানোর প্রশ্নচিহ্নগুলো রবীন্দ্রানুরাগী—
তিন তিনটা মৃত্যুর পরেও যে গাইতে পেরেছে ‘কে বলে গো সেই প্রভাতে নেই আমি’, আত্মজকে
ফ্ল্যাশ করা কমোডে বসে নির্বিকার ছেড়েছে সিগ্রেটের ধোঁয়া—লোকটা আজ সংসারবিবাগী
চতুর্থ মৃত্যুর পর রবীন্দ্রনাথের বইয়ের ভেতর থেকে একটা নারীমুখের ছবি হারিয়ে গেল।
undefined
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৫।