গত ৫ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে কবি লেখক জর্জ এলিয়ট ক্লার্ককে কানাডার দ্য পার্লামেন্টারি পয়েট লরিয়েট হিসাবে ঘোষণা দেয় কানাডার সরকার। সহজভাবে বলা যায় কানাডার সভাকবি।
সমকালীন সমাজ চেতনায় ঋদ্ধ কানাডার কবি, নাট্যকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জর্জ এলিয়ট ক্লার্ক। পরিশ্রুত ভাষায় ব্যবহৃত তাঁর লেখায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে অভিজ্ঞতার সারৎসার। তাঁর উচ্চারণ জাতিসত্তার ভিত্তিতে করুণ যন্ত্রণার মোড়কে এক তীব্র প্রতিবাদ, বোধের তীক্ষ্ণ আঁচড়। আশা আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন নিয়ে হয়ে ওঠেন আশা জাগানিয়া।
কবি জর্জ এলিয়ট ক্লার্কের জন্ম ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬০ সালে, নোভা স্কোশিয়া, কানাডায়। আফ্রো-আমেরিকা-কানাডিয়ানের ৭ম প্রজন্ম তিনি। ইংরেজি সাহিত্যের স্নাতক ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াটারলু, স্নাতকোত্তর ডালহৌসী ইউনিভার্সিটি এবং পিএইচডি করেন কুইন্স ইউনির্ভাসিটি থেকে।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকা এবং সাহিত্য সংস্থার সাথে জড়িত ছিলেন। সাহিত্যে রয়েছে গবেষণা কর্ম। কানাডায় তিনি “আফ্রোকাডিয়া” নামে নতুন এক সাংস্কৃতিক ধারাকে পরিচিত করেন। পৃথিবীর কয়েকটি ভাষার পাশাপাশি বাংলাভাষায়ও তার কবিতা অনূদিত হয়েছে।
জর্জ এলিয়ট ক্লার্কের কবিতা
বসন্ত আসছে
দীর্ঘ শীতের পর
এক নির্যাতন পেরিয়ে
বসন্ত আসছে ধীরে ধীরে।
যেন স্বাধীনতা খুব কাছাকাছি।
যদিও এখন পর্যন্ত আসেনি
সেই জন্যে বসন্ত পাথর্নায় আমরা
অপেক্ষা শুধু বিজয়ের।
কখন
কিভাবে
যেখানে উষ্ণতা
সূর্য
বিদীর্ণ করা উচ্চ স্বর
চিৎকার
দেরি করে ঘরে ফেরা
বরফ গলা
সব কিছুকেই স্বাগতম।
বসন্ত আসছে ধীরে ধীরে।
■ অনুবাদ : পারভেজ চৌধুরী
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০১৬