ইংলিশ চ্যানেলের পারে (ইংল্যান্ডের ডাইরি)
এখানে নিঃশ্বাসের ফিসফিসানি
লুটোপুটি খায় নাম না জানা একটা মহাসাগরে।
আমি প্রশ্ন করেছিলাম, একটা ভেজা চুলের ঢেউকে
‘তোমার নাম কী?’
ওর ঠোঁটটা একটু কেঁপেছিল।
লজ্জায় মুখ লুকিয়ে আবার হারিয়ে গিয়েছিল।
হয়তো উত্তর মহাসাগর থেকে
ভেজা চুল শুকাতে এসেছিল, এই নিডলসের পারে,
হয়তো বা চুলের জটে বসে থাকা
আটলান্টিকের রুক্ষ শুষ্ক একাকিত্ব ধুতে।
এখানে মেঘেরা সব, নির্লজ্জ বেহায়া।
রোদ দেখলে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে।
সে এক দীর্ঘ, দম বন্ধ করা চুম্বন।
বিরক্তিরা ভিড় করে বসে চোখের পাতায়,
সাবধানে জমিয়ে রাখা যন্ত্রণারা ঝ’রে পড়ে।
দুদণ্ড কথা বলতে পারে না আকাশ, সাগরের সাথে।
আমি ওদের শুনিয়েছি—
আমার বঙ্গোপসাগরের গল্প।
ওখানে জল চুল ভেজায় না।
শুধু চোখের পাশে—বলিরেখায়
বৃষ্টি জমে থাকে, অল্প।
ভগবান
অবসরে ক্লান্ত মন এঁকেছিল ছবি।
হাত নেই, পা নেই, শুধু দুটো চোখ।
শান্ত—স্নিগ্ধ—উদ্ধত দুটো চোখ।
সারা শরীরে ক্যানভাসের সাদা রঙ।
বিশ্বাসের ঘোলা জলে ভেসে গ্যাছে সময়;
সুখ-দুঃখ, আলো-আঁধার মিলে মিশে একাকার।
প্রশ্বাসের শব্দেরা খুঁজে মরে ধূপের ধোঁয়া।
চোখ শান্ত; অশান্ত শুধু জীবন-যৌবন-মৃত্যু।
অশান্ত উশৃঙ্খল মন, খোঁজে খাদ্য,
খোঁজে সাপ, কেন্নো, কেঁচো।
ভগবান, তুমি ভালোবাসা
থেকে ‘ভয়’ হয়ে গ্যাছো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৬
টিকে/