বৃন্ত’র মিছিল
আমি অনন্ত ক্ষুধায় বেঁচে থাকি বলে
বিশুদ্ধ রমণীরা তাদের কালো বৃন্ত ঝুলিয়ে রাখে
আমার ভাবনার ঝুল বারান্দায়;
কেউ কেউ করিডোর পর্যন্ত ডেকে নেয়।
চড়ুই পাখির মতো বাসা বাঁধতে গেলে
তাদের পোষা বেড়ালগুলো সন্ধ্যার অবকাশে
জ্বলজ্বলে চোখ মেলে তাকায়-
আমার পৌরুষ ঈঁদুর-বেড়াল খেলায় মেতে ওঠে!
পূর্ব পুরুষের কাছ থেকে ধার পাওয়া ফলা
অকর্ষিত জমির মালিকের কাছে বন্ধক রেখে
কেটে গেছে চৌত্রিশ বছর-
এখনও মধ্য দুপুরে
নদীতে কল্লোল তুলে ছুটে চলা লঞ্চের কেবিনে
পাঁচ তারকা হোটেলের নিয়ন আলোয়
অসংখ্য বৃন্ত’র মিছিল দেখি-
দেখে দেখে কেটে যাবে আরও নাকি কুড়িটি বছর।
বয়সী প্রেমে দুলিয়ে দেবো তোমার হৃদয়
অনায়াসে যাকে ভালবাসা যেত
যার কাছে নত হলে ভোরের শালিক
দুপুর আকাশে ছুটে চলা চিল
একটু থেমে গল্প শোনাত
যার কাছে জমা রাখা যেত
কষ্টের পাণ্ডুলিপি, মলাটবদ্ধ সুখ
তাকেই ভাবলে কষ্ট উৎপাদনের
আদিম উৎসমুখ! আহত-
জানলার পাশে শিস দেওয়া বোকা সময়
টেনে নিয়ে গেলো
কোনো এক বৈকুণ্ঠের দিকে
তোমাকে
হন্ত-দন্ত হয়ে ছুটে চলেছ তুমি- পেছনে ফেরার সময় কই?
তবুও কুড়ি বছর পর ফিরতে চাও যদি
আদিম আকাঙ্ক্ষায়;
আমি মাঠ হব, ধূলোমাখা পথ হব-
পাতাঝরা দিন হব, বয়সী প্রেমে দুলিয়ে দেবো
তোমার হৃদয়।
এন্তেজার
ভালবাসার চেয়ে উপেক্ষার শক্তি ঢের বেশি
যারা উপেক্ষা করতে জানে
তাদের পায়ের কাছে ভালবাসা
সদ্যজাত বেড়াল ছানার মতো মিউ মিউ করতে থাকে সারাক্ষণ..
খুব বেশি অনাদরে ভালবাসা গভীর হয়ে ওঠে
প্রেমিকপ্রবর হয়ে ওঠে তৃঞ্চার্ত বেড়ালছানা
এই বিশ্রী সূত্রে বিশ্বাসী এক প্রেমিকা
ক্রমাগত উপেক্ষা করতে করতে
তার শুদ্ধতম প্রেমিককে বানিয়েছে বাঘ!
বাঘটি এখন বাঘিনীর স্তন পান করে ঘুমাতে যায় রোজ!
আর প্রেমিকা?
এন্তেজার করে
সেই নরম তুলতুলে বেড়াল ছানার.....
কম্পাস-২
তুমি এখন দক্ষিণে
সেদিকেই ঘুরে যেতে পারত আমার কম্পাস
কিন্তু কী আশ্চর্য!
আমার বেহায়া-লোলুপ কম্পাসটি
ঠাঁয় উত্তরমুখী দাঁড়িয়ে আছে।
কয়েকটি রেল ক্রসিং, মাল্টিপল উড়াল সড়ক
অভিজাত এভিনিউ, পায়ে হাঁটা ফুটপাত
লেকভিউ পার্ক দুলিয়ে ছুটে চলা একজোড়া পা
উত্তরের শাশ্বত সূত্রে বেঁধে ফেলেছে আমার কম্পাসটিকে
এখন আমি নিজেই কম্পাসমুখী
উন্মুক্ত না হওয়ার দৃঢ় প্রতিজ্ঞায়..
সুইসাইড নোট
ভালবাসার `সফল’ সমাপ্তিতে উঠল কেঁপে ঠোঁট,
ঘরে ফিরে দেখি, অপেক্ষায় ব্যর্থ সুইসাইড নোট!
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৬
এসএস