কবিতায় কি আর বলা যায় সব?
স্বাধীনতার ৪৫ বছর পূর্তির প্রাক্কালে
কী বলার ছিলো আর কী বলতে হচ্ছে?
বলতে হচ্ছে বেদনায়, লিখতে হচ্ছে রক্তে
স্বরব্যঞ্জনে সব কি উত্থাপন সম্ভব
দুখিনী বর্ণমালার দুখী সন্তানের গাথা?
এই মার্চে কুমিল্লার ঘটনার পর পুরুষ শব্দটা
অকস্মাৎ ঘেন্না মাখানো সন্দেহবস্তু হয়ে গেছে:
তার গোপন সবকিছু প্রকাশ্যে তেড়ে এসেছে
পশুর মতো লাফাচ্ছে খোয়াড়ের বাইরে।
কুমিল্লার অপরাধের বিষ্ঠা মাথায় পুরুষগণ পত্রিকার শিরোনামে
সামাজিক ও অসামাজিক যোগাযোগের বন্ধনে।
প্রতিক্রিয়াটি আমার মতো তোমাকেও ঘায়েল করেছে:
মনে হচ্ছে তুমি পশুরহাটে কোরবানির গরু কিনতে গিয়ে
ক্ষুব্ধ সন্দেহে আমার মতো বিশুদ্ধ প্রেমিকের গলায় দড়ি দিয়ে
পুরুষ শব্দটার ওজন দেখছোতো দেখছোই;
অবিরাম মাপছো কুমিল্লার ঘটনায়
কতোটা পুরুষের পাপ আর কতটা পশুত্বের দাগ।
হায়! কুমিল্লা ঘটনার পর পুরুষ শব্দটি পশুর প্রতিশব্দ হয়ে যাবে অনেকের কাছে।
ভালোবাসা জানানোর মুখগুলো বোবা হয়ে যাবে
প্রেমের কাজল-চোখ মুছে যাবে
পুরুষ শব্দের ওপর থেকে সব আলো নিভে গিয়ে লেপ্টে থাকবে পাশবিক অন্ধকার,
গালে মেখে থাকবে অপমানের চড়,
পুরো অস্তিত্বে অপৌরুষ নিয়ে পশু-পুরুষ বৃহন্নলার সাথেও জায়গা করে নিতে পারবে না।
আত্মধিক্কার-পশুদের হল্লায় শেষতক শহিদ মেয়েটির পবিত্র শবের পায়ের কাছে আশ্রয় খুঁজতে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৬
এসএস