পরাযাত্রা
দেহঘড়ির ভেতরে ঢুকে পড়া ফুলের কাঁটা নাড়তে থাকি। সিঁড়ি উঠতে উঠতে হারিয়ে যাওয়া বালকের পদচিহ্ন মনে পড়ে।
কিছুই ছিলো না এখানে, অন্ধকারে অরণ্য না স্টেশন রেখে গেছে কারা, বোঝা যায়নি। স্টেশন পারে না নিজে চলতে, তবু সেখানেই শুরু সকল যাত্রা। ঘাটলার সাহস আর অরণ্যের অজ্ঞাত ফুলের সংশয়ে এই দাঁড়িয়ে থাকা। এই দাঁড়িয়ে থাকার ঘোরে বিদ্যুতায়িত আকাশের চেরা ফাটল, দেখা যায়নি পুরনো ঝড়ের ক্ষণের মতো। কেননা ঝড় উঠলেই ভয় উড়ে যাবার কথা। ফাটলে হারানোর ছিলো বহুবিধ মাদুর।
গুরু-শিষ্য গাথা
তালা খুলতে ছিটকে পড়লো যে নাট
তারই গুরু, শিষ্য শিকারে ধায়
উলুবনে মৃদুমন্দ লুলা বাতাস
চাপা থেকে ঝুরঝুর অবিরাম হা হা
নিঃশ্বাস চুষে নেয় চকোলেট ও চৈতিফুল
ছেঁড়া গোলাপের বনজ দোলা
সটান সৌরাঙ্গে, মাপজোখের কৃত্যকলায়
কীভাবে, কতোটা শিষ্য হতে হয়-
গুরু উপায় বলো না!
তবুও
তাতেও আনন্দ!
আনন্দও মাটি হয়
ঝুরঝুর ঝরে পড়ে
ছায়াঘেরা মাটিক্ষয়
সেই ফাঁকে খোলা চোখ
পাতা থাকে কার?
কবর ও করবী, একসাথে
বেড়ে ওঠে, মানবিক লয়-
কুয়োর ভেতর দেখা নদী
চোখের ওপর দিয়ে বয়
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৬
এসএনএস