ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

আমার বেলা যে যায় সাঁঝ-বেলাতে (পর্ব-২) | আবদুল্লাহ আল-হারুন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৬
আমার বেলা যে যায় সাঁঝ-বেলাতে (পর্ব-২) | আবদুল্লাহ আল-হারুন

প্রথম পর্বের পর…

হজপিস কী এবং কেন 
যে সমস্ত মরণাপন্ন রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসক ইতোমধ্যেই রায় দিয়েছেন, তার এ ব্যাধিটি সমস্ত চিকিৎসার বাইরে চলে গেছে। শেষ লগ্নটি মাস-দু’মাসেই এসে যাবে এবং দুর্ভাগ্যক্রমে রোগীর তেমন কোনো নিকটাত্মীয় বা বন্ধু নেই।

বা সেই অকৃতদার বা জীবনসঙ্গী বহু আগেই মৃত, সন্তান-সন্ততি নেই বা থাকলেও নানা কারণে (দূরে বা প্রবাসে থাকে) বাবা-মাকে দেখাশোনা করার জন্য সময় করতে পারছে না বা অন্যকোনো কারণে আসতে পারে না। হতে পারে পাড়া-প্রতিবেশীরাও নিয়মিত দেখাশুনা করতে নিরুৎসাহী এবং আন্তরিক স্বজন বলে কেউ নেই, তাদের জন্য অপ্রিয় ও দুঃখজনক সত্যটি হলো, ‘এমতাবস্থায় হাসপাতালে গিয়ে মরা ছাড়া তার আর কোনো উপায় নেই। ’ এ সত্যটি শুধুমাত্র উন্নয়নশীল ধনী দেশগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এসব দেশে হাসপাতালের কোনো অভাব নেই। এ প্রসঙ্গে আমি আমার হজপিস সম্পর্কিত রচনা, ‘অন্তর্জলী যাত্রা’য় লিখেছিলাম- ‘বিশ শতকের মাঝামাঝি, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর নব্য ইউরোপে আকাশচুম্বি অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে একান্নবর্তী পরিবারের ঐতিহ্য পুরোপুরি লোপ পায়। যুদ্ধের শেষে পুরুষদের সংখ্যা মেয়েদের তুলনায় খুবই কমে যাওয়ায় (হয় যুদ্ধে নিহত, নয় যুদ্ধবন্দি) বাইরের সব কাজকর্ম, কলকারখানা ও অফিস আদালতে মেয়েদের যোগদান অনিবার্য হয়ে পড়ে। সেই যে মেয়েরা রান্না ও সন্তান প্রতিপালন ছেড়ে বাইরে এলেন, আর ফিরে যাননি। বিবাহে অনীহা, সন্তান ধারণ না করে বরং চাকরি করে ক্যারিয়ার গঠন করতেই এখন অধিকাংশ ইউরোপীয়ান জার্মান রমনীদের ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। ৬০ দশকের শেষে জার্মানিতে পরিবারপিছু সন্তানের সংখ্যা ভয়াবহভাবে কমে আসতে থাকে। এ বছর (২০০৮) যে সর্বশেষ হিসেব বেরিয়েছে, তা পরিবারপিছু মাত্র ১.৬ জন! চিকিৎসা ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়নের ফলে মানুষের আয়ু বেড়ে গেছে। ওল্ড হোমের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। আঠারো বছর হলেই ছেলেমেয়েরা বাবা-মায়ের বাঁধন কেটে সিংগল থাকার জন্য ব্যাকুল! বুড়ো বাপ-মায়ের দেখাশোনার দায়িত্ব নিতে হয় না, সবারই জন্য আর্থিক সুব্যাবস্থা আছে। পেনশন না থাকলে (সম্ভাবনা খুবই কম), নিয়মিত আর্থিক সাহায্য (সরকারি/বেসরকারি) হাতের কাছেই আছে! গগনচুম্বি স্বচ্ছলতার সাথে সাথে এসেছে অনিবার্যভাবে নির্মম একাকিত্ব! শতকরা নব্বইজন জার্মান হাসপাতালে একাকী নিঃসঙ্গ মৃত্যবরণ করেন। অধিকাংশেরই অবসর জীবন কাটে ওল্ড হোমে। ছেলেমেয়েরা যার যার জীবন নিয়ে ব্যস্ত। আমাদের মতো নয়, যে বৃদ্ধ বয়সে একমাত্র সন্তানের বা অন্যের প্রত্যক্ষ সাহায্য ছাড়া বাঁচার আর কোনো পথই নেই। ’ 

এ ধরনের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আজকাল ইউরোপের অধিকাংশ বুড়ো-বুড়িরা ওল্ড হোমে বা একলা বাড়িতে কাটান। সময়মতো ছেলেমেয়েদের সঙ্গে সখ্যতা হয়নি। অর্থনৈতিক কারণে, ওয়ারীশানের দাবি-দাওয়া, বাবা-মায়ের বেঁচে থাকার সময়ই সন্তানের সম্পত্তির অংশ দাবি করা এবং তা নিয়ে বিরোধ- এসব কারণেই বাবা-মায়ের প্রতি সন্তানদের আকর্ষণ দিন দিন কমে যাচ্ছে।


আমি একবার রাত জেগে তখন যার মৃত্যুপথযাত্রায় শেষ সঙ্গ দিচ্ছিলাম, বার্লিনে বসবাসরত তার ৫০ বয়সের একমাত্র কন্যাসন্তানকে, দৈনিক সাত-আটবার টেলিফোন ও আন্তরিকভাবে অনুরোধ করার পরও মায়ের সঙ্গে শেষ দেখা করতে আসার জন্য তাকে রাজি করাতে পারিনি। বুড়ো মা বেচারি সন্তানকে শেষবার না দেখেই মনে অবর্ণনীয় কষ্ট নিয়ে পরলোকে প্রস্থান করেছিলেন। মেয়ের কাছে ‘অতীতের কৃত’ অপরাধের (!) জন্য বেচারি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমাও চাইতে পারলেন না। মাতার অপরাধটি হলো, তার মৃত্যুর সময় থেকে ১৫ বছর আগে শেষ সাক্ষাতের সময় মেয়ে তার কাছে কিছু টাকা চেয়েছিলো। কারণ, সে স্বামীকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে বেড়াতে যাবে! মা একাকী থাকেন, স্বল্প পেনশন। ভবিষ্যতের কথা ভেবে, কন্যার বিশ্বভ্রমণের খরচ বহন করতে অস্বীকার করেন। ব্যস, মেয়ে ওই যে মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করলো, পনের বছর পর মৃত্যুশয্যায়ও শেষ দেখা করতে এলো না।


মা এর জন্যই মেয়ের কাছে ক্ষমা চাইতে তার কাছে আসার জন্য আমাকেসহ পাড়া-পড়শিকে দিয়ে শতবার টেলিফোন করানোর পরেও তার সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ করতে পারেননি। মার উইল অনুযায়ী, মুত্যুর পর বেশ কিছু স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি মেয়েটি পেয়েছে এবং আশা করি, সে টাকায় জননীর প্রতি তার নিষ্ঠুর অন্যায়টি ভুলে প্রাণখুলে অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকাসহ সব মহাদেশই সফর করে নিজের বহুদিনের বিশ্বভ্রমণের অপূর্ণ আশাটি বাস্তবায়িত করেছে।  

হজপিস কোনো ওল্ডহোম নয় যে এখানে কেউ বহুবছর কাটাবেন এবং মনে রাখতে হবে, এখানে স্বেচ্ছামৃত্যুর বা মৃত্যুকে তরান্বিত করার কোনোরকম সাহায্য-সহযোগিতা নেই। ইউরোপের অনেক দেশে বৈধ হলেও জার্মানিতে এসব আইনত নিষিদ্ধ। তবে হ্যাঁ, শারীরিক যন্ত্রণা নিরাময়ের জন্য নানাবিধ ব্যবস্থা রয়েছে। এসব ব্যবস্থাকেই আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে ‘পালিয়েটিভ’ বলে। এজন্য কর্মীরা তাদের প্রশিক্ষণের সময় প্রয়োজনীয় জ্ঞানার্জন করেন। অনেক ধরনের কার্যকরী সিডেটিভ/পেইনকিলার ওষুধ প্রয়োগ বা নানাবিধ শারীরিক ম্যাসেজের মাধ্যমে হজপিসকর্মী রোগীর শরীরের ব্যথা কমানোর জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করেন। এ ব্যাপারে সে সবসময় ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে থাকে এবং তার নির্দেশেই এসব ব্যবস্থা নেন। সময় ও প্রয়োজনমতো শারীরিক যন্ত্রণানিবারণ বা কমানোর দরকারি ব্যবস্থা নেওয়া হজপিসকর্মীদের একটি বিরাট প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। এ ব্যাপারে লন্ডনের সেন্ট ক্রিস্টোফার হজপিসের অবদান সারাবিশ্বের স্বীকৃতির সঙ্গে সঙ্গে প্রশংসিতও হয়েছে। ইঞ্জেকশান করে শরীরে নিয়মিত তরল মরফিন দিলে প্রায় সবসময়ই রোগীর আর বেদনাবোধটি থাকে না। এবং এতে করে রোগীর সামগ্রিক চেতনাতেও তেমন কোনো প্রভাব পড়ে না।

রোগীদের সপ্তাহ বা মাসের হিসেবে বাড়িতে এক-দু’দিন রাত্রি কাটানোর ব্যবস্থাও করা হয়ে থাকে যদি রোগী বা তার আত্মীয়রা তা চান এবং তার শারীরিক অবস্থা এ ধরনের যাতায়াতের অনুকূলে থাকে। এ ব্যাপারে হজপিসে কর্মরত ডাক্তার ও ভবনের প্রশাসকরা যুগ্মভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। দীর্ঘদিন যদি রোগী বাড়িতে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং তার শরীর ও মন দুইই এটি সহ্য করতে পারে, তাহলে তিনি দীর্ঘসময় বাড়িতেও থাকতে পারেন। এসময় হজপিসকর্মী বাড়িতে গিয়ে নিয়মিত তার খোঁজখবর নেন।  

মৃত্যুর অব্যবহিত পূর্বে রোগীর শেষ কামনা-বাসনা পূরণ করার জন্য প্রিয়জনেরা চেষ্টার কমতি রাখেন না। মৃত্যুশয্যায় শায়িত বাবা-মাকে সন্তানেরা বার বার জিজ্ঞাসা করেন, তার কী ইচ্ছা। অকাল মৃত্যুর নিষ্ঠুর থাবায় জর্জরিত প্রিয় সন্তানকে ব্যাকুল মা বার বার জিজ্ঞেস করে জানতে চান, তার কী খেতে ইচ্ছে করছে। বা সে কি তার ‘ওই বিশেষ প্রিয় খাদ্যটি’ বানিয়ে তাকে খাওয়াবে? আমার গত দীর্ঘ প্রায় বিশ বছরের হজপিসকর্মী হিসেবে সক্রিয় ভুমিকা পালন করার সময় আমি মুমূর্ষু রোগীদের সাধারণ-অসাধারণ ও আজব সব শেষ ইচ্ছার সম্মূখীন হয়েছি। সাত বছরের শিশু শেষ শয্যায় তার প্রিয় অভিনেতা বা খ্যাতনামা খেলোয়াড়কে কাছে পেতে চেয়েছে। ফুটবলভক্ত মরার আগে আসন্ন বিশ্বকাপ খেলা উপভোগ করার শেষ বাসনা প্রকাশ করেছে। কেউ ব্যাকুল হয়ে চেয়েছে, এক সময়ে যে প্রেমিকা তাকে বা সে নিজে তাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলো, তাকে শেষবার শয্যাপাশে দেখতে। বাবা-মা-সন্তান বা বন্ধুদের সঙ্গে মৃত্যুর আগে তারাই শেষবার দেখা করতে চান, যারা এইসব স্বজনদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব-কলহ বা ঝগড়াঝাটি করে দীর্ঘদিন সম্পর্কচ্ছেদ করেছেন। তারা ক্ষমা চাইতে আগ্রহী। প্রিয়জনদের মনে কষ্ট দিয়ে মরতে চান না তারা। দুরারোগ্য ব্যাধিগ্রস্ত হয়ে অকাল মৃত্যুর আগে একজন সুবিখ্যাত দৌড়বিদ মরার আগে কোনোমতে একবার অলিম্পিক খেলায় যোগ দিতে পারেন কিনা, এর তত্ত্ব-তালাশ করেছেন। দেশভ্রমণের ইচ্ছাও বার বার শুনতে হয়েছে।  

কিন্ত সবকিছুর ঊর্ধে যে ব্যাকুল আশাটি আমাকে সবসময় মর্মাহত করেছে এবং এখনও করে, তা হলো- দেহের তীব্র, অসহনীয় ও অবর্ণনীয় ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্তহীন আহাজারি। আমার সঙ্গে যারা মৃত্যুশয্যায় উপস্থিত থাকেন- ডাক্তার, নার্স, আত্মীয়স্বজন ও হজপিস-কর্মীরা, নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে একমত হবেন। কিছুদিন আগে ‘আমাদের মানচিত্র’ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘আবার আসিব ফিরে- পওলিনের কাহিনী’ নামে একটি মৃত্যুসঙ্গের কাহিনিতে আমি কিশোরী পওলিনের ক্যানসারের ব্যথার মর্মান্তিক বিবরণ দিয়েছি। একজন বিচলিত পাঠক আমাকে ইমেইলে জানিয়েছেন, ‘কাহিনী পড়ার সময় চরম ব্যথার এমন একটি চিত্ররূপ তিনি দেখতে পাবেন, কখনই তা ভাবেননি। আমার মনে হচ্ছিলো, পওলিনের নির্মম ব্যথাটি তার সামনে এসে ক্রুর হাসি হাসছে!’ অনেক সময়ই হজপিসকর্মীরা এ ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। কিন্ত পওলিনের ব্যথার যে মর্মন্তুদ অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে, জীবনে তার আবার পুনরাবৃত্তি আমি দুঃস্বপ্নেও কামনা করি না। যে পাশে থাকে তার সবচাইতে দুঃসহ ও অসহ্য বেদনা হলো, শ্রুতির বেদনা। চোখের ব্যথা তো চোখ মুঁদলেই অন্তর্হিত হয় কিন্ত কানের? ব্যথায় উৎপীড়িত হয়ে যখন বার বার রোগী বলে, ‘আমাকে মেরে ফেলুন, আমাকে এখনই মেরে ফেলুন, আমি আর পারছি না। ’ তখন মনে হয়, ‘না আর নয় এ মৃত্যুসঙ্গ! এরপর এ পথে আর আসবো না! হজপিজকর্মীর তালিকা থেকে চিরতরে আমার নামটি কেটে দেবো’। কিন্ত নিশির ডাকের মতোই আবার যখন আহ্বান আসে, এক জীবন থেকে আরেক জীবনে যে প্রস্থান করছে, শয্যাপাশে বসে তার বিচিত্র অভিজ্ঞতায় ভাগ নেবার সুযোগটি  যেনো ‘জগতের আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ’! ‘ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! মৃত্য যার দোরগোড়ায়, ব্যথায় কাতর হয়ে সেই কিনা আরও শীঘ্র তার আবির্ভাব কামনা করছে! এসময় যারা তার পাশে থাকেন, তাদের জন্য একটি অসহনীয় পরিবেশ! মানুষের ক্ষমতা যে কতোটা সীমিত, ইচ্ছা থাকলেও রোগীকে কিছুটা শান্তি দেওয়ার জন্য তার যে কোনোকিছুই করার নেই, এ ব্যর্থতাটি, শেষযাত্রার সঙ্গী হজপিসকর্মীর স্মৃতিকে উনবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভ অবধি নিয়মিত তাড়া করে ফিরতো। এ থেকে বেশ কিছুটা অব্যহতি পাওয়া গেছে পালিয়েটিভ মেডিসিনের সাহায্যে। এর কল্যাণে মৃত্যুশয্যায় জীবনের শেষ যাত্রায় রোগী যেমন তার শারীরিক ব্যথা থেকে কিছুটা রেহাই পেয়ে থাকেন, তার সঙ্গী হিসেবে হজপিসকর্মীরও একটু স্বস্তি মেলে।    

পরবর্তী পর্বে পড়ুন, ‘হাসপাতাল ও হজপিস এবং হজপিস আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস’

বাংলাদেশ সময়: ১১৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৬
এসএনএস

**আমার বেলা যে যায় সাঁঝ-বেলাতে (পর্ব-১)
**মৃত্যু নিয়ে আবদুল্লাহ আল-হারুনের ধারাবাহিক বাংলানিউজে
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।