আইজিসিসি (গুলশান -১) থেকে: আগামী ২৫ বৈশাখ (০৮ মে, ২০১৬) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫তম জন্মজয়ন্তী। দিনটিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার (আইজিসিসি) আয়োজন করেছে এক বিশেষ আলোচনা সভা।
‘বহুবর্ণিল রবীন্দ্রনাথ’ শীর্ষক বিশেষ এ আলোচনা সভায় কবিগুরুর তিন বর্ণচ্ছটা নিয়ে আলোচনা করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষক-গবেষক ও ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার স্ত্রী হিমেল শ্রিংলা, ঢাকার রবীন্দ্র একাডেমির জেনারেল সেক্রেটারি বুলবুল মহলনবিশ এবং কলামিস্ট এম. এন. কুন্ডু।
শুক্রবার (০৬ মে) রাজধানীর গুলশান-১’র আইজিসিসিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিন আলোচক প্রদীপ জ্বালিয়ে কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে সভার উদ্বোধন করেন।
আলোচনা পর্বে রবীন্দ্রনাথের চারটি উপন্যাস- ঘরে বাইরে, চোখের বালি, যোগাযোগ ও নষ্টনীড়ের প্রধান নারী চরিত্রদের নিয়ে আলোচনা করেন হিমেল শ্রিংলা।
আলোচনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন, প্রায় শতবছর আগে লেখা উপন্যাসের নারী চরিত্রগুলো বর্তমান সময় বাস্তবতায়ও ভীষণ আধুনিক। এটি রবীন্দ্রনাথেরই আধুনিক মননের প্রকাশ। তৎকালীন কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজে নারীর নিজস্ব লড়াইকে তিনি চরিত্রগুলোর মধ্য দিয়ে দেখিয়েছেন।
বুলবুল মহলনবিশ আলোকপাত করেন, রবীন্দ্রনাথ ও বিশ্বমানবতা নিয়ে।
বিস্তারিত আলোচনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন, বিশ্ব জগতের সঙ্গে আলিঙ্গন করার প্রবল ইচ্ছে রবীন্দ্রনাথের বরাবরই ছিল। সেই ইচ্ছে তার বিভিন্ন লেখায় নানাভাবে এসেছে। এটিই তাকে বিশ্বকবি, বিশ্বমানবতার কবি করে তুলেছে। তার চিন্তার বৈচিত্র্য ও বহুমুখীনতা বিশ্বের অন্যসব লেখক-সাহিত্যিক-শিল্পীর তুলনায় তাকে আলাদা করে তুলেছে।
এছাড়া কবি রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন এম. এস. কুন্ডু।
তিনি বলেন, কেন এতো বছর পরেও রবীন্দ্রনাথ প্রাসঙ্গিক? কারণ, এটি আমাদের জীবনকে সমৃদ্ধ করে। এখানেই তার সৌন্দর্য ও অবিনশ্বরতা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৬
এসএনএস/আইএ