ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

যশোরে প্রাচ্যসংঘ ক্যাম্পাসে সাহিত্যিকদের মিলনমেলা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৭
যশোরে প্রাচ্যসংঘ ক্যাম্পাসে সাহিত্যিকদের মিলনমেলা যশোর প্রাচ্যসংঘ ক্যাম্পাসে সাহিত্যিকদের মিলনমেলা-ছবি: বাংলানিউজ

যশোর: যশোরে প্রাচ্যসংঘের ক্যাম্পাস জুড়ে চলছে ‘প্রথা বিরোধী’ বাংলা ভাষার সাহিত্যিকদের আড্ডা। ক্যাম্পাসের ভাসানী মঞ্চে চলছে ‘ভিন্ন ধারার সাহিত্যিকদের’ চিন্তার ব্যপ্তি প্রকাশ।

সুসজ্জিতভাবে একাধিক গ্যালারিতে সাজানো হয়েছে দেশি-বিদেশি ৭৫টি ছোটকাগজের স্টল।

পঞ্চভুজ আকৃতির ময়দানের মধ্যভাগেও বসছে ‘জ্ঞান বিতরণের’ স্টল।

ভারতের আসাম, ত্রিপুরা, কলকাতা আর বাংলাদেশের ‘প্রতিষ্ঠান বিরোধী’ সাহিত্যিকদের এ মিলনমেলা চলবে দু’দিনব্যাপী।

যশোরের প্রাচ্যসংঘে পঞ্চম জাতীয় লিটিল ম্যাগাজিন মেলার এ আয়োজন শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা ছিলো প্রবীণ সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানীর। কিন্তু তিনি অসুস্থ্যতার কারণে আসতে না পারলেও একটি লিখিত বার্তা বলেছেন, ‘দেশের ভাষার ওপর কুচক্রীদের দৃষ্টি পড়েছে। সাম্প্রদায়িকতা বাড়ছে। সেখানে লিটন ম্যাগাজিনের কর্মীদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। ’ লিখিত বার্তাটি পাঠ করেন দিপংকর রায়।

পরে মেলা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অনিকেত শামীম আনুষ্ঠানিকভাবে মেলা উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশসহ ভারতের আসাম, ত্রিপুরা আর কলকাতার বরেণ্য লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদকরা এ মেলায় অংশ নিচ্ছে। মেলা থেকে ‘সজিব চিন্তার’ সক্রিয়তা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন আয়োজকরা। সকালে প্রাচ্যসংঘের ভাসানী মঞ্চে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে এমনটিই বলেছেন পঞ্চম জাতীয় লিটল ম্যাগাজিন মেলা উদযাপন পর্ষদ-২০১৭ এর সদস্য সচিব বেনজীন খান।

মেলা উদ্বোধন করে অনিকেত শামীম বলেন, ‘২০০৭ সালে বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় লিটল ম্যাগাজিন মেলা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। এরপরের বছরও মেলাটি হয় ঢাকা। তবে ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো ঢাকার বাইরে লিটল ম্যাগাজিন মেলা বসে ময়মনসিংহে। আর ২০১০ সালে চতুর্থবারের মেলাটি হয় ঢাকার শাহবাগে। এরপর নানা কারণে লিটন ম্যাগাজিন মেলা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। তবে আজ থেকে যশোরে শুরু হয়েছে লিটল ম্যাগাজিনের পঞ্চম আসর। ’যশোর প্রাচ্যসংঘ ক্যাম্পাসে সাহিত্যিকদের মিলনমেলা-ছবি: বাংলানিউজএসময় আরও বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক শহিদুল আলম, অর্বাক সম্পাক জাবির সৈকত, খড়ীমাটি সম্পাদক মনিরুল মনি, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দেবাশীষ দাস, ধাবমান সম্পাদক কবি কাজল কানন, ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদের সম্পাদক ইয়াজদানি কোরায়াসী, নৈশব্দ সম্পাদক আলী হোসেন, পশ্চিমবঙ্গের কারুভাসের সম্পাদক মানষী কীর্ত্যনিয়া, নদের সম্পাদক শামীম হোসেন, কবি সরজ দে, হেনরি স্বপন, ছোটকাগজ চিরকু্টের সাবেক সম্পাদক মাসুম মনোয়ার, আবুল হোসেন রাষ্ট্রসংঘের পরিচালক মুস্তাক আহম্মেদ পলাশ, আহম্মেদ মাজহার ও পশ্চিমবঙ্গের কবিতা ক্যাম্পাসের সম্পাদক অলক বিশ্বাস প্রমুখ।

মেলায় অনিকেত শামীমের সম্পাদনায় প্রকাশিত ছোটকাগজ ‘লোক’, আফসার নিজাম সম্পাদিত ‘আড্ডা’, খন্দোকার আশরাফ হোসেনের ‘একাবিংশ’, শহিদুল আহম্মেদের ‘কবি’, মিন্টু হকের ‘কাশবন’, সানাউল্লাহ সাগরের ‘কীর্তনখোলা’, শাদি ইকবালের ‘চিহ্ন’, ভারতের কলকাতার মানষী কীর্তনীয়ার ‘কারুভাষ’, ত্রিপুরার দেবব্রত দেবের ‘মুখাবয়ব’ ও আসামের সচিদানন্দ চৌধুরীর ‘একা’। সব মিলিয়ে মেলায় ৭৫টি স্টল আছে ছোটকাগজের।

আয়োজকরা জানান, শনিবার (১৮ মার্চ) শেষ দিন সকাল ১১টার দিকে মুক্ত আলোচনার বিষয় ‘ছোটকাগজ সম্পাদনা, প্রকাশনা ও বিপনন’। ৩টায় থাকছে ‘একুশ শতকের ছোটকাগজ’ বিষয়ক সেমিনার। আর বিকেল ৫টায় আলোচনার বিষয় হিসেবে থাকছে ‘ছোটকাগজ, পুঁজিবাদের গোলকধাঁধ বনাম ফেসবুক’। সবশেষে কবিতা পাঠের আসরের মধ্যদিয়ে ভাঙবে এ মিলনমেলা।

বাংলাদেশ সময়: ০২৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৭
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।