কিছু কিছু সংবাদ মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর প্রকাশ করায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মিথুন আহমেদ বলেন, যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন তারা নিঃসন্দেহে ভুল করছেন।
পরে বাংলানিউজকে পাঠানো একটি এসএমএস বার্তায় মিথুন আহমেদ বলেন, ‘অতিকষ্ট ও বেদনা নিয়ে জানাচ্ছি যে বরেণ্য আবৃত্তিকার, মুক্তিযোদ্ধা ও স্থপতি, আমাদের সকলের অতি প্রিয়জন কাজী আরিফ লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। ’
এর আগে নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশি কমিউনিটির পরিচিত মুখ সংবাদকর্মী আকবর হায়দর কিরণও বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন কাজী আরিফ মারা যাওয়ার খবরটি মিথ্যা। তাকে এখনো লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এই আবৃত্তিশিল্পীর হার্টের একটি বাল্ব অকেজো এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্টারি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেলে চিকিৎসকরা তার বাল্ব পুনঃস্থাপন ও বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত নেন।
মিথুন আহমেদ জানান, গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) শিল্পীর হার্টের বাল্ব পুনঃস্থাপন এবং আর্টারিতে বাইপাস সার্জারি করার সময়েই তার ফুসফুসে কিছু জটিলতা সৃষ্টি হয়। যা চিৎসকদের পক্ষে দ্রুত সারিয়ে তোলা সম্ভব হয়নি। এ কারণেই তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
কাজী আরিফের জন্ম ৩১ অক্টোবর ১৯৫২ সালে ফরিদপুর রাজবাড়ীতে। কিন্তু বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রাম শহরে। এখানেই তার পড়াশোনা, রাজনীতি, শিল্প-সাহিত্য এসব কিছুরই হাতেখড়ি হয়। তিনি একাধারে একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, আবৃত্তিকার, লেখক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক।
তিনি ১৯৭১ সালে ‘১ নম্বর সেক্টর’ এর মেজর রফিকের কমান্ডে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এরপর যুদ্ধ শেষে বুয়েটে পড়াশোনা শুরু করেন আর সাথে সমান তালে এগিয়ে যেতে থাকে তার শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
এমজেএফ