ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

লেখক হতে গেলে ফাঁকিবাজি করে কিছু হয় না | বুদ্ধদেব গুহ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
লেখক হতে গেলে ফাঁকিবাজি করে কিছু হয় না | বুদ্ধদেব গুহ লেখক হতে গেলে ফাঁকিবাজি করে কিছু হয় না | বুদ্ধদেব গুহ

বুদ্ধদেব গুহর মতো জনপ্রিয় লেখককে নতুন করে পাঠকদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়াটা বাহুল্যই বটে। তার লেখা উপন্যাস বিশেষত মাধুকরী, কোজাগর, একটু উষ্ণতার জন্য— এগুলো পড়েননি এমন রসিক পাঠক বোধকরি পাওয়াই মুশকিল!

মেঘে মেঘে বেলা তো কম হলো না। দীর্ঘ জীবন যাপনের এই পর্বে এসে জীবন, মৃত্যু, প্রেম, সমাজচিন্তা, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কতি প্রভৃতি নিয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে এক একান্ত আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন জননন্দিত এ লেখক।

বাংলানিউজের পক্ষ থেকে এ আলাপচারিতায় অংশ নেন কবি তানিয়া চক্রবর্তী।  

বাংলানিউজ: এখন এই সময়ে কিংবা এই বয়সে বুদ্ধদেব গুহর জীবন সম্পর্কে দর্শন কী? বিগত যাপন আপনি কীভাবে দেখেন? 

বুদ্ধদেব গুহ: আসলে আমি খুব ভাগ্যবান। আমার মতো সাহসী ও শিকারী লাইফ খুব কম বাঙালি লেখকের ছিলো বলে মনে করি কারণ, আমি কলকাতায় জন্মালেও যেহেতু বাবা কলকাতায় থিতু ছিলেন সরকারি কাজের সূত্রে তাই শৈশবের কিছুটা কলকাতায় কাটলেও পরে আমি দেশের বাড়িতে ছিলাম। সেখানেই পাঠশালাতে পড়েছি। আমাদের বাড়ি ছিলো রাজশাহীর কাছাকাছি রংপুরে।  বোমা পড়ার সময় বাবা দেশের বাড়িতে পাঠালেন সেখানেই প্রকৃতির অভিঘাত আমার ওপর পড়তে থাকে ফলে পাঠশালায় পড়া, জেলা স্কুলে পড়া। তারপর আমার এক পিসি ছিলেন, তার বাড়ি ছিলো আসামে। রংপুর থেকে সেখানে যেতাম। আমার লেখাতেও এর উল্লেখ রয়েছে। নাগরিক লেখকরা মনে হয় না সেভাবে কেউ পাঠশালায় পড়েছেন আর কলকাতায় তো সেই প্রকৃতির অভিঘাতটা পাওয়া যায় না। তারপর আবার কলকাতায় আসা পরে বাবা বদলি হয়ে বরিশালে গেলেন, সেখানেও জেলা স্কুলে পড়েছি। বাবা বিভিন্ন সময়ে শিকারে যেতেন, পাখি শিকারে সঙ্গে যেতাম প্রায় ১০ বছর বয়স থেকেই। তারপর এক জজ সাহেবের স্ত্রীর একটি বন্দুক, ২০ বোরের টলি কোম্পানির বন্দুক বাবা কিনে আমায় ব্যবহার করতে দিলেন। ফলে দশ বছর বয়স থেকে শিকারে যাওয়া। তারপর তো ফিরে এসে বাবা প্রায় বিহার, ঝাড়খণ্ড এসব জায়গায় শিকার করতে যেতেন; বাবার একমাত্র শখ ছিলো শিকার। অনেকেই জানে না বাবা খুব ভালো প্লেয়ার ছিলেন; মোহনবাগানের গোলকিপার ছিলেন বাবা। খালি ফুটবল নয়, ক্রিকেট, হকিও বাবা খেলতেন। আম্পায়ার অ্যাসোশিয়েনে আম্পায়ার ছিলেন। তারপরে আমার বন্ধু ছিলো চুনী গোস্বামী। আমি ক্রিকেটের ক্যাপটেন ছিলাম আর ও ছিলো ফুটবলের। তো একদিন হলো কী, আমাদের টিমে প্লেয়ার কম পড়েছে, আমাদের গেমস টিচার আমাকে বললেন, চুনীকে নে। আমি বললাম ও কী জানে ক্রিকেটের, লাথি মারে বলে! তারপরে ওকে নিলাম, সে কী খেলল! তখনই বুঝলাম, আসলে ও একটা ক্ষণজন্মা ছেলে! যাই খেলত সেটাই দারুণ হওয়ারই কথা। তারপর কলেজে পড়াকালীন টেনিস খেলতাম সাউথ ক্লাবে, তারপর কলকাতা র্যাকেট ক্লাবে স্কোয়াশ খেলতাম। আর শিকার ছিলো আমার প্রধান। ছুটি পেলেই শিকারে যেতাম ঝাড়খণ্ড, বিহার আর আসামে। পরবর্তীতে মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ছত্রিশগড়ে সেই গড়চেলডি, পালামৌ। তারপর কাজের জন্য আফ্রিকাতে গেলাম জঙ্গল দেখতে; রুআহা, পঞ্চমপ্রবাসে তার উল্লেখ রয়েছে। তারপর গান গেয়েছি। গান শিখেছি দক্ষিণীতে, জর্জ বিশ্বাসের কাছে কিন্তু বাবা বলতেন, “তোর আর ওখানে গান হইব না ওখানে সব মাইয়ারা যায়, ওখানে তোর সিএ পাশও হইব না’। কিন্তু ততোদিনে যা সর্বনাশ হওয়ার হয়ে গেছে! ঋতুর (ঋতু গুহ, লেখকের স্ত্রী) সঙ্গে আলাপ হয়ে গেছে।

মধ্যজীবনে এসে পুরাতনীর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠলাম। ঋতু একদিন গুনগুন করে একটা গান গাইছিল; আমি জানতে চাইলাম এটা কী গান? বলল নিধুবাবুর গান। চণ্ডীদাস মালের টপ্পা শুনেছি। রামকুমার চট্টোপাধ্যায় আমার এইখানে বসে গান গেয়ে গেছেন। তারপর এই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে থাকা ফলে প্রায় শেষ জীবনে এসে চাপরাশ লিখেছিলাম; যারা ঈশ্বরের চাপরাশ বহন করেন, সেই কথা মাথায় রেখে সাধু-সন্ন্যাসীদের নিয়ে লেখা। আর প্রফেশনাল জগতেও আমার বিচরণটা উচ্চ জায়গায় ছিলো। আমি সব কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টরদের ঘরে বসে থাকতাম। ফলে সেই সূত্রে আমি প্রচুর বিদেশে গিয়েছি বেশীরভাগ মক্কেলদের পয়সায়। কাজের বাহানায় যেতাম ঠিকই কিন্তু উদ্দেশ্য থাকত জঙ্গল ঘোরা। এভাবেই আফ্রিকা, ইউরোপ, জাপান, আমেরিকা, কানাডা সব ঘোরা। ফলে এই অজস্র অভিজ্ঞতা, এতো মানুষের সঙ্গে মেশা। শিকারের সূত্র ধরেই  গরিবস্য গরিব, আদিবাসী পভৃতি সমস্ত মানুষের সঙ্গে মেশা। যেমন এই পালামৌ আমি হাতের রেখার মতো জানি। তারপর আমাকে কে একজন ম্যাকলাস্কিগঞ্জের খোঁজ দিলো। তারপর সে ঘুরে ঘুরে বার করলাম। আর আমার মায়ের খুব ইচ্ছে ছিলো গিরিডিতে গিয়ে থাকার। গিরিডিতে আমার মামারবাড়ি ছিলো। আমার যে ডাকনাম ‘লালা’ সেটা আসলে দিদিমার দেওয়া  নাম থেকে; দিদিমা নাম দিয়েছিলেন “নন্দলালা”। মা গল্প করতেন লাল মাটি, শালবন আর বাবা মজা করে বলতেন, এই রে তোর মাকে আবার গিরিডিতে পেয়েছে। মা বাবাকে বলতেন, তুমি এতো টাকা করলে লাল মাটি আর শালবনে আমায় একটা বাড়ি করে দিলে না। বাবা উত্তরে বলতেন অতো দূরে বাড়ি করে কেউ যাবে না। লোকে জানলা-দরজা খুলে নিয়ে যাবে! আমি মাকে খুব ভালোবাসতাম ফলে পরে মায়ের কথা ভেবে আমি একটা কটেজ নিলাম। যদিও মা একবার গিয়েছিলেন। হাঁটুর সমস্যার জন্য আর যেতে পারেননি। পরে সেটা আমি ফার্নিশ করালাম, মুসলমান বাবুর্চি রাখলাম। আর প্রিয় লেখক হেমিংওয়ের বাড়ির নামে কটেজের নাম রাখলাম, “দ্য টপিং হাউজ”। ২২ বিঘে জমির ওপরে সেই বাড়ি, প্যাটকে কেয়ারটেকার রেখেছিলাম।

“একটু উষ্ণতার জন্য”র পরে আমি আর ম্যাকলাস্কিগঞ্জের কথা লিখতে পারিনি সেভাবে। আসলে আমার চরিত্রগুলো তো সব বাস্তব থেকেই নেওয়া। “কোজাগর”ও তো তাই, নামও তো বদল করিনি! ২২ বিঘে জমির ওপরে আমার সেই কটেজ। আমার মালির কুকুরকে লেপার্ড নিয়ে গেলো। ভাইয়েরা গিয়ে বলল, পাঁচ লাখ টাকা দিলেও এখানে রাত কাটাব না। আর আমি বালিশের তলায় একটা বন্দুক নিয়ে সেখানে থাকতাম। সকালে পাঁচমারি অবধি হেঁটে আসতাম। তখন আমার মক্কেল হলো অপর্ণা (অভিনেত্রী অপর্ণা সেন), ও তখন মুকুলের সঙ্গে প্রেম করছে বোধহয়। বলল, ঘুরে আসব ম্যাকলাস্কিগঞ্জ? বললাম যাও। ওর ‘থার্টি সিক্স চৌরঙ্গী লেন’ ছবির অনুপ্রেরণা তো ম্যাকলাস্কিগঞ্জ থেকেই।

আরও বিষয়, আমিও মেয়েদের ভালোবাসতাম আর যেকোনো বয়সের মেয়েরাও আমায় ভালোবাসত ফলে নারীসঙ্গ হয়েছে অনেক। আমার পাঠিকারা আমায় বলেছে, আপনি যেভাবে মেয়েদের বোঝেন তেমনভাবে অন্য কেউ বোঝে না কেন? কিন্তু আমি বলতাম, কেন শরৎচন্দ্র, তিনি যেভাবে বুঝেছেন তেমন আর কেউ কী! তার মতো ঔপন্যাসিক! শরীর ছাড়া ওরকম জ্যান্ত প্রেম নিয়ে আসা উনি ছাড়া আর কেই বা পেরেছেন।

আরও কী বিষয় হলো, নির্জনতার মধ্যে থাকতে পারা। অন্ধশিল্পী বিনোদবিহারী বাবু বলতেন, নির্জনতা কখনও খালি হাতে ফেরায় না। নির্জনতায় যে থাকতে না পারে তার মনুষ্যবোধ নেই। একা থাকতে পারাটা একটা ক্ষমতা। মুনি-ঋষিরা তাই সাধনার জন্য নির্জনে চলে যেতেন। আমি নির্জনে ভালোভাবে থাকতে পেরেছি। আমি বাংলা, ইংরেজি ছাড়াও হিন্দি, উর্দু, ওড়িয়া এসব ভাষা জানি বলে মানুষের সঙ্গে মিশতে পেরেছি। প্রমথেশ বড়ুয়ার ছোটভাই ইস্টার্ন রিজিয়নের প্রায় ১৩টা ভাষা জানতেন আর যেখানে ঘুরে ঘুরে বেড়াত সেখানে মানে সেই ওরাও, সাঁওতাল মেয়েদেরকে বিয়ে করে ছেলে-মেয়ে রেখে আসত। আমিও যদি পারতাম খুশি হতাম কিন্তু আমার পা-টা ছিলো চূড়ান্ত বাস্তবে; এই বাস্তব আর কল্পরাজ্য, এর মধ্য থেকে সৃষ্টিশীলতাকে আমি বাঁচিয়ে রেখেছিলাম। প্রকৃতির মধ্যে থাকলে প্রেম বলো, ঈশ্বরবোধ বলো, শরীর, মন সব ভালো থাকে; শহরের মেয়েদের দেখো, এই হাঁটু ব্যথা, এই ঘাড়ে ব্যথা! আর আমার ঈশ্বর হলো এই প্রকৃতি। মা মাঝে মাঝে বলতেন, খোকন স্বপ্ন দেখেছি, পুরীতে নিয়ে চল, কালী ঘাট নিয়ে চল! আমি নিয়ে গিয়ে মন্দিরের চাতালের ধাপে বসে থাকতাম। আসলে এই পৌত্তলিক ঈশ্বর কিংবা মন্দির এইসব প্রতিষ্ঠান এসব তো সাধারণ মানুষের জন্য। যারা বোধে ঈশ্বরের রূপ বুঝতে পারে না তাদের জন্য। আসলে ঈশ্বর তো রাস্তায়, প্রকৃতিতে, সর্বত্র— যেমন এই গানের যে সারগাম সা রে গা মা পা এসব তো এক একটা প্রাণীর আওয়াজ থেকে এসেছে। এই নদীর শব্দ, এই বৃষ্টির শব্দ। তারপর ধরো, প্রত্যেকটা নদীর একটা নিজস্ব চাল রয়েছে। এসবই তো ঈশ্বর।

এই যে অনেকে বলে আমার লেখায় বিদেশি লেখকের প্রভাব আছে। আছেই তো, তবে প্রত্যক্ষভাবে নেই। এই যে জিম করবেটের মতো মানুষ তাকে কিনা কেনিয়াতে গিয়ে মরতে হলো, এটা কী একটা দেশের সৌজন্যে হতে পারে? আসলে কী জানো, লেখক হতে গেলে অনেক কিছুকে আত্মস্থ করতে হয়, ফাঁকিবাজি করে কিছু হয় না। ফলে এই ভরপুর জীবন আমি উপভোগ করেছি, আমার কোনো অনুশোচনা নেই। আমি যাকে গুরু মানি প্রিয় লেখক হেমিংওয়ে বলেছেন, “নেভার রিগ্রেট আ থিং হোয়াট ইউ হ্যাভ অলরেডি ডান”। সেটাই আমার সূত্র।    

বাংলানিউজ: আচ্ছা কোজাগর আর মাধুকরী, দু‘টোর মধ্যে আপনার কাছে নির্বাচনে কোনটা আগে?

বুদ্ধদেব গুহ: তুলনা মুশকিল! সমান ক্ষমতাসম্পন্ন। কোজাগর’র সেভাবে নাম হলো না! মাধুকরী তো প্রায় শেষে এসে লিখতে দেওয়া হলো আমায় দেশ পত্রিকায়। তথাকথিত বড় প্রকাশনী সেইভাবে তুলে ধরেনি তো আমায়! মাধুকরীর কিছু চ্যাপ্টার যখন বিশেষ একজন মানুষের কাছে নিয়ে গেলাম সেখান থেকে বার্তা পেলাম, কিছুই নাকি হয়নি লেখা, ফেলে দেওয়া যেতে পারে! সেইসব মানুষের হিংসা দেখেছি অদ্ভুতভাবে। তবে তসলিমার (লেখক তসলিমা নাসরীন) সঙ্গে যখন প্রথম আলাপ হলো, যখন প্রাইজ নিতে এসেছিল কলকাতায় তখন ও আমায় দেখে বলল, আপনি বুদ্ধদেব গুহ! আমরা মাধুকরী বাংলাদেশে ‘কোরান’র মতো পড়ি, প্রত্যেকে মাথার কাছে রাখি। তারপর বন্ধুত্ব হয়েছিল তার সঙ্গে, বেশ কিছু চিঠিও লেখা হয়েছিল। আর হ্যাঁ, মাধুকরীর প্রভাব অবশ্য আলাদা! আমাকে অনেকে চিঠি লিখে বলেছিল, এটার জন্য আপনার নোবেল পাওয়া উচিত! সে যাক, বাংলা বইয়ের ইংরেজি অনুবাদ কী আর পড়া হয়! মাধুকরী ফ্রেঞ্চ ভাষায় অনুদিত হয়েছিল অবশ্য! আর বাংলাদেশেও স্বাধীনতার পর আমার যাওয়া হয়নি এবং সেই জায়গাটা ওখানে তৈরি করতে অনেকে বাধা দিয়েছে আড়ালে, তারাই কুক্ষিগত করে রেখেছিল। এমনি লোকে আমার বই ওখানে পড়ে ফলে আমি ওখানে গেলে আমার গান, আমার কথা শুনে পাঠকরা আরও উৎফুল্ল হতো ফলস্বরূপ ছদ্ম বাঁধা রাখা হলো! এখন তো অভিমান হয়! আর আমি শুনি যে, আমার বই ওখানে খুব বিক্রি হয়! আমাকে আসলে খুব চেপে রাখা হয়েছিল নেহাত আমার খুব জেদ আর জোর ছিলো। এই যেমন ধরো, “কুহেলের কাছে” বা “একটু উষ্ণতার জন্য” যদি ঠিক সময়ে ঠিক জায়গায় বেরুতো ফলে নাম আরও আগে এবং আরও বেশি হতো। আর আমার তো আলাদা পেশাও ছিলো। পেশায় আক্যাউটেন্ট ছিলাম। মিঞা মইজুদ্দিন যেমন সরগম জানতেন না, লোকজন বলত আসলে ঈশ্বর তাকে গলায় সারগাম বেঁধে দিয়েছেন। তাই সব মানুষ তো সমান নয়! কেউ হারমোনিয়াম ভেঙে ফেলেও ঠিকঠাক সা বলতে পারে না। আমিও তো খালি গলাতেই গাই বাংলোতে, জঙ্গলে ফলে সেখানে তানপুরা বা হারমোনিয়াম থাকার প্রশ্ন নেই। আসলে সা ঠিকঠাক বলতেই দশ বছরের সাধনা লাগে! 

চলবে…

বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।