ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

গান-কবিতার আবেশে বিজয়ের আয়োজন

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
গান-কবিতার আবেশে বিজয়ের আয়োজন আয়োজনে সংগীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন কমলিকা চক্রবর্তী ও ড. শাহাদাত হোসেন নিপু। ছবি: হোসাইন মোহাম্মদ সাগর

ঢাকা: ‘আমি যদি আবার জীবিত হই, তবে কিছু কবিতা পড়তে এবং প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে একবার করে হলেও কিছু গান শুনতে চাইবো’। এ কথা বলেছিলেন প্রখ্যাত প্রকৃতিবিদ ও জীববিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন।

অন্য সবার মতো হয়তো ডারউইনও মনে করতেন- কবিতা মানুষের চেতনার কথা বলে, স্বপ্নের কথা বলে, প্রত্যয়ের কথা বলে। সংগীতের মূর্ছনা মানুষকে মোহাচ্ছন্ন করে, মনে প্রশান্তি আনে।

এই সংগীত আর কবিতা যদি একসঙ্গে একটি আসরের নিবেদন হয়, তবে সে আসর যে মনের খোরাক হিসেবে আত্মতৃপ্তি দেবে, তা সহজেই অনুমেয়।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের (আইজিসিসি) আয়োজনে এমনই এক আসরে মুগ্ধতায় ডুবলেন কবিতা ও সংগীতপ্রিয় দর্শক-শ্রোতারা। রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় সংগীত ও আবৃত্তি সন্ধ্যার।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়েজিত এ অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেন দেশের নন্দিত আবৃত্তি শিল্পী ড. শাহাদাত হোসেন নিপু। তিনি দর্শক-শ্রোতাকে মোহিত করেন ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো’, ‘এইতো আমরা এখানে বসে আছি পিতা’, ‘গর্জে ওঠো বাংলাদেশ’, ‘এপারে ভারত ওপারে বাংলা’সহ বেশ কয়েকটি বিখ্যাত কবিতা আবৃত্তি করে।

আর সংগীত পরিবেশন করেন বরেণ্য শিল্পী কমলিকা চক্রবর্তী। ভারতীয় এ শিল্পীর নিবেদনে ছিল ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার’, ‘ধন ধান্য পুষ্পে ভরা’, ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’সহ বিভিন্ন গান।

উভয়ের পরিবেশনায় প্রাণের সঞ্চার জাগে দর্শক-শ্রোতার হৃদয়ে। এই সংগীত ও আবৃত্তি সন্ধ্যা উপভোগে আসা আনিসুল হক বলেন, আয়োজনের দু’জন শিল্পীই দু’দিক দিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ের। এক মঞ্চে তাদের এমন পরিবেশনা মনে আনন্দের সৃষ্টি করে, সব ক্লান্তি দূর করে নতুন করে পথ চলতে সাহস যোগায়।

আয়োজন সম্পর্কে ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক জয়শ্রী কুণ্ডু বলেন, স্বাধীনতা প্রতিটি দেশের জন্যই অনেক বড় একটি প্রাপ্তি। এর পেছনে থাকে রক্তক্ষয়ী ইতিহাস। তাই বাংলার বিজয় দিবসের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই এ আয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
এইচএমএস/এইচএ/

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।